মাস দেড়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা তৈরি হয়েছে। এ বার নতুন জেলার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার।
‘জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান’ থেকে মোট ৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টেই এই অর্থ এসেছে। মূলত রাস্তা, পানীয় জল, সেচের মতো উন্নয়নমূলক কাজে এই অর্থ ব্যয় হবে। ঝাড়গ্রাম জেলার এক প্রশাসনিক আধিকারিক মানছেন, “জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যানের অর্থ এসেছে। কাজের জন্য পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে।”
মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গলমহল এলাকার জন্য আগে কেন্দ্রের প্রকল্প ছিল ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’। এই প্রকল্পে অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্য বছরে গড়ে ৫০-৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ হত। কয়েক মাস আগে এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র।
তা নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা গঠনের সময় ক্ষোভও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ বন্ধের পরে রাজ্য সরকার ‘জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান’ চালু করে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান’-এ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্যও বরাদ্দ হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ঝাড়গ্রাম জেলার ৮টি ব্লকের সবকটিই জঙ্গলমহল এলাকায় পড়ছে। আর পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১টি ব্লকের মধ্যে মেদিনীপুর সদর, শালবনি এবং গড়বেতা-২ ব্লক জঙ্গলমহল এলাকার মধ্যে পড়ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বরাদ্দ টাকায় ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প হতে পারে। এক-একটি পাম্পের ক্ষেত্রে ব্যয় হতে পারে সাড়ে
৩ লক্ষ টাকা।
বিনপুর-২ (বেলপাহাড়ি) ব্লকে তারাফেনি নদীতে ১ কোটি টাকায় তৈরি হতে পারে একটি কজওয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার এক প্রশাসনিক আধিকারিকের কথায়, “এ সবই খসড়া পরিকল্পনা। আলোচনার মাধ্যমে সব চূড়ান্ত হবে।”