চন্দ্রকোনায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়েও পরে কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে বিক্ষোভ-স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইসিডিএস কর্মী সমিতি। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন ব্লকের সিডিপিও-র কাছে পৃথকভাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংগঠনের জেলা সভানেত্রী নিবেদিতা দাস ও জেলা সম্পাদিকা হেনা শতপথীর অভিযোগ, গত অগস্টে সরকারি নির্দেশিকা জারি করে অক্টোবর মাস থেকে কর্মী ও সহায়িকাদের এক হাজার টাকা করে সাম্মানিক বাড়ানো হয়। সেই টাকা গত মাসে সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। গত ১ নভেম্বরে নতুন সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, উদ্বৃত্ত সাম্মানিকের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, অক্টোবর থেকেই কর্মীরা পাবেন অতিরিক্ত চারশো টাকা ও সহায়িকারা পাবেন অতিরিক্ত সাতশো টাকা। এর ফলে অক্টোবর মাসে পাওয়া অতিরিক্ত এক হাজার টাকা থেকে কর্মীদের ফেরত দিতে হবে ছ’শো টাকা এবং সহায়িকাদের তিনশো টাকা ফেরত দিতে হবে।
নিবেদিতাদেবীর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার ছেলেখেলা করছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে সাম্মানিক বাড়িয়েও ফের তা কমিয়ে দিয়ে এখন টাকা ফেরত চাওয়া হচ্ছে।’’ ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘কর্মী ও সহায়িকাদের দাবির বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হবে।’’ এ দিন একই কারণে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা শহরের গাছশীতলা মোড়ে এলাকার শতাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ঘাটাল-চন্দ্রকোনা ও চন্দ্রকোনা-আরামবাগ রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ীর কাছেও স্মারকলিপি দেন তাঁরা। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পক্ষ থেকে কেশিয়াড়ি সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক বিকাশ রায়ের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।