সঙ্কল্প যাত্রায় রোষে বিডিও

রবিবার মোটরবাইক নিয়ে সঙ্কল্প যাত্রায় প্রশাসনের মুখোমুখি দাঁড়াল বিজেপি। এই টানাপড়েনে গোয়ালতোড়ে যেমন আহত হলেন পুলিশের ডিএসপি, তেমনি দাঁতনে হেনস্থার মুখে পড়লেন বিডিও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ২৩:৪৯
Share:

পুলিশের মারে আহত বিজেপি কর্মী। গোয়ালতোড়ে। নিজস্ব চিত্র

প্রশাসনের দাবি, অনুমতি নেই। তাই বাইক র‌্যালি করা যাবে না। বিজেপির দাবি, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ হচ্ছে। রবিবার মোটরবাইক নিয়ে সঙ্কল্প যাত্রায় প্রশাসনের মুখোমুখি দাঁড়াল বিজেপি। এই টানাপড়েনে গোয়ালতোড়ে যেমন আহত হলেন পুলিশের ডিএসপি, তেমনি দাঁতনে হেনস্থার মুখে পড়লেন বিডিও।

Advertisement

প্রায় প্রতিটি এলাকায় যেভাবে বাইক র‌্যালিতে বাধা দিচ্ছিল দাঁতনের সোনাকোনিয়াতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় গন্ডগোলের পরে ৬০ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পরে দাঁতন ১ ব্লকের বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষ এলাকায় গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। তিনি মধ্যস্থতা করলে তাঁর উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গালিগালাজ করা হয়। দাঁতন ১ ব্লকে সরকারি পরিষেবা প্রদানে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে হেনস্থা করা হয়েছে তাঁকে। টানা হেঁচড়াও করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ একটি গাড়িতে করে তাঁকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, সেই গাড়ির ওপর আক্রমণ করেন বিজেপির কর্মী সমর্থক। পুলিশের সামনেই চলে এই ঘটনা। পরে এলাকা থেকে পুলিশ বিডিওকে সরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় জমায়েত। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে বিডিওর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বারবার ফোন করা হলেও তা বেজেই গিয়েছে।

মেদিনীপুরে দু’টি এলাকায় বিজেপির মিছিল বেরিয়েছিল। একটি রাঙামাটি থেকে। অন্যটি কেরানিচটি থেকে। কেরানিচটির কাছেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মিছিলের নেতৃত্বে থাকা দলের জেলা সম্পাদক অরূপ দাসের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। রাঙামাটিতেও মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। তবে পুলিশি নজরদারির ফাঁক গলে দলের কিছু কর্মী মিছিল নিয়ে কেরানিতলায় পৌঁছে যান। কেরানিতলায় সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। খড়্গপুর শহরের রামমন্দির থেকে বার হয় মিছিল। তবে মিছিল ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বড়বাতির কাছে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ।

Advertisement

এ দিন সকালে কয়েকশো বাইক নিয়ে অরণ্যশহরের পথে নেমেছিলেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী। ঝাড়গ্রাম শহরের অফিসার্স ক্লাব মাঠ থেকে বাইক মিছিলটি শুরু হয়ে মেন রোড ধরে এগোতে থাকে। শহরের কেন্দ্রস্থল পাঁচ মাথার মোড়ে আগে থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। ‘গার্ড-রেল’ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ঢাল, লাঠি, জল কামান, কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট, প্লাস্টিক বুলেট নিয়ে তৈরি ছিল পুলিশ বাহিনীও। পাঁচ মাথা মোড়ের কাছে পুলিশ আটকালে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। এরপর দু’টি মোটরবাইক পাশাপাশি রেখে তার উপর দাঁড়িয়ে খালি গলায় চিৎকার করে বক্তৃতা করতে শুরু করেন সুখময়। পুলিশের বাধায় প্রায় আধঘন্টা আটকে থাকার পরে বাইক মিছিলটি পাঁচমাথার মোড় থেকে তথ্য কেন্দ্র রোড ধরে দলীয় কার্যালয়ের দিকে ফিরে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন