৫৮ হাজার প্রার্থী দেব, হুঙ্কার দিলীপের

চড়াম-চড়াম ঢাক বাজাবে বলছে। আমরা জঙ্গলমহলের ছেলে ধামসা বাজাতে জানি। নদী পেরিয়ে চলে যাবে সে আওয়াজ। শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এ ভাবেই তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ০২:২১
Share:

চড়াম-চড়াম ঢাক বাজাবে বলছে। আমরা জঙ্গলমহলের ছেলে ধামসা বাজাতে জানি। নদী পেরিয়ে চলে যাবে সে আওয়াজ। শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এ ভাবেই তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে দাঁতন ও বেলদায় সভায় যোগ দেন দিলীপবাবু। দাঁতনের সভামঞ্চ থেকে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে বিঁধে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘কেষ্ট ওখানে আমাদের প্রার্থী দিতে না দিয়ে বিজয় উৎসব করছে। হাঁড়ি হাঁড়ি রসগোল্লা খাওয়া হচ্ছে। রসগোল্লা খেয়ে যতটা সুগার বাড়ানো হচ্ছে একবছর পরে করলা খাইয়ে সুগার কমাবো।’’

দাঁতন ও বেলদাতে প্রচার মিছিল শেষে পথসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ নিয়ে আদালতের রায় প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘আমরা ৩৫ হাজার প্রার্থী দিয়েছে। আদালত যদি রায় দেয় ৫৮ হাজার প্রার্থী দেব ও তৃণমূলকে দাঁড় করিয়ে হারাব।’’

Advertisement

পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের আমলে সকলে মার খাচ্ছে। পুলিশকেও মার খেতে হচ্ছে। পুলিশ টাকা নিয়ে মার খাচ্ছে আর আমরা টাকা না নিয়ে মার খাচ্ছি।’’ তাঁর আক্রমণ থেকে বাদ যাননি মুখ্যমন্ত্রীও। নাম না করে দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘চারিদিকে মারধর হচ্ছে, লুঠপাট হচ্ছে আর দিদি বলছেন কিচ্ছু হয়নি। তিনি চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। ন্যাকামির দিন শেষ এ বার আমরা খেলা দেখাব।’’

মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও তোপ দাগতে ছাড়েননি দিলীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দিদির চ্যালা শুভেন্দুবাবু। তিনি মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর এক চ্যালা ছিল নান্টু প্রধান। পাঁচটা গ্রামের লোক তাঁকে পিটিয়ে মেরে দিল। জলও পেল না।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘শুভেন্দুবাবু বলছেন বিজেপি মেরেছে। নান্টু ফান্টুকে মারতে বিজেপি লাগে না। নিজেরাই যথেষ্ট।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement