প্রাথমিক পড়ুয়াদের জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ-ফেল চালু ও কুসংস্কারমুক্ত পাঠ্যসূচি চালুর দাবি তুলল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। রবিবার কোলাঘাটের দেউলিয়া হীরারাম উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত হয় সংগঠনের অষ্টম বার্ষিক জেলা সম্মেলন।
সমিতির রাজ্য সভাপতি কার্ত্তিক সাহা বলেন, ‘‘প্রাথমিক স্তর থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়াদের পাশ-ফেল প্রথা ফের চালুর দাবিতে আন্দোলনের জেরে রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসেছে। কিন্তু তা পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে চালু করা হবে বলে আলোচনা চলছে। আমরা দাবি করছি প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশ-ফেল প্রথা চালু করতে হবে।’’
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সমিতির রাজ্য সম্পাদক আনন্দ হান্ডা, সেভ এডুকেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যা অনুরূপা দাস প্রমুখ। তাঁরা অভিযোগ করেন, গত পাঁচ বছরে রাজ্যে মাত্র একবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। দ্বিতীয়বার টেট পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু তাঁর ফল প্রকাশ কবে হবে তা পরীক্ষার্থীরা আজও জানেন না। সম্মেলনে মোট ১৮৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি যোগ দেন। সম্মলেন থেকে সমিতির ৫১ জনের জেলা কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ২৪-২৬ অক্টোবর সমিতির রাজ্য সম্মেলেন হবে মেচেদায়।
সংবর্ধনা। বিধায়কদের সংবর্ধনা দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল লিগ্যাল সেলের ঘাটাল ইউনিট। শনিবার ঘাটাল টাউন হলে ছিলেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, দীনেন রায়, শঙ্কর দোলই, মমতা ভুঁইয়া। সংগঠনের সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস বলেন, “এই প্রথম বিধায়কদের সংবর্ধনা দিলাম আমরা। সব বিধায়ক আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ায় উপস্থিত হওয়ায় আমরা খুশি।” এ দিনই সংগঠনের ঘাটাল ইউনিটের কাযর্করী সভাপতি হিসাবে দয়াময় চক্রবর্তী নাম ঘোষণা করা হয়।