বিজেপি-র উপর হামলার অভিযোগ কেশিয়াড়িতে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গগনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিজনপল্লিতে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। তা নিয়েই তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাত। রবিবার ২১ জুলাই কলকাতার সমাবেশের সমর্থনে মিছিল বের করে তৃণমূল। অভিযোগ, ওই মিছিলের পরেই গ্রামের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ০০:৪২
Share:

দলের পতাকা পুড়িয়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ির গগনেশ্বর পঞ্চায়েতের মুড়াকাটা গ্রামে। ওই দিন তৃণমূলের একটি মিছিলের বেরনোর পরেই গ্রামে গোলমাল বাধে। তৃণমূলের হামলায় হরিজনপল্লির দুই মহিলা ছবি পণ্ডিত ও মঞ্জু পণ্ডিত জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই দু’জনকে কেশিয়াড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গগনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিজনপল্লিতে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। তা নিয়েই তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাত। রবিবার ২১ জুলাই কলকাতার সমাবেশের সমর্থনে মিছিল বের করে তৃণমূল। অভিযোগ, ওই মিছিলের পরেই গ্রামের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাধে। তারপর বিজেপির পতাকা পোড়ানো হয়, বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চলে। তখনই দু’পক্ষের হাতাহাতিতে ওই দুই মহিলা গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ।

বিজেপির কেশিয়াড়ি দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি সনাতন দোলই বলেন, “ওই এলাকায় তৃণমূলের এখন অস্তিত্ব নেই। তাই মিছিলে জনা তিরিশের বেশি লোক হয়নি। মিছিল শেষ হতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কালীশঙ্কর দে-র নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। ওদের একটাই দাবি, বিজেপি করা যাবে না।’’ জখমরা কিছুটা সুস্থ হলে তাঁরা থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে দাবি সনাতনবাবুর। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জগদীশ দে-র বক্তব্য, “ওখানে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গোলমাল হয়নি। সাধারণ একটা গ্রাম্য বিবাদকে নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন