BJP

BJP: ভোটের আগেও শীতঘুমে বিজেপি!

এগরা এবং পটাশপুরে ভাল সংগঠন থাকা সত্ত্বেও এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে বড়ো ব্যবধানে হারতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

পড়শি মহকুমায় পুরভোটের দামামা বেজেছে। দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও দলীয় কর্মসূচিতে ঝাঁজ বাড়াতে দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। ভোট রয়েছে এগরা পুরসভাতেও। কিন্তু এই মহকুমার বিজেপি নেতৃত্ব যেন গিয়েছেন শীতঘুমে!

Advertisement

এগরা এবং পটাশপুরে ভাল সংগঠন থাকা সত্ত্বেও এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে বড়ো ব্যবধানে হারতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের। তবে এগরা পুরসভা এলাকায় যথেষ্ট ভাল ফল ছিল গেরুয়া শিবিরের। এগরার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতেই বিজেপি তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা ভোটে ‘বদলা’ নিতে মুখিয়ে রয়েছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। কিন্তু এখনও পুরভোটের তেমন প্রস্তুতি বা বড়সড় কর্মসূচির আয়োজন না হাওয়ায় তাঁদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। অন্যদিকে, এগরা পুরসভার ভোটকে লক্ষ্য রেখে ওয়ার্ডে ভিত্তিত তৃণমূলের কর্মী বৈঠক শুরু হয়েছে। বিরোধী হিসাবে বাম এবং কংগ্রেসও অনেক বেশি রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে।

এগরা মহকুমা এলাকায় গেরুয়া শিবিরের এমন স্থিতাবস্থার পিছনে কোন্দলই রয়েছে বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই বিজেপির প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরের ক্ষোভ সামনে এসেছিল। সেই ক্ষোভের প্রভাব পড়েছে বিধানসভা ভোটে। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ অভিযোগ করেছেন, অন্য এক গোষ্ঠী শাসকদলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। মণ্ডল সভাপতি থেকে অন্য দলীয় স্তরে নেতা হওয়ার লড়াইয়ে সংগঠনের মধ্যে ফাটল তৈরি হয়েছে বলে দাবি। যা সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের রসদ জুগিয়ে চলছে।

Advertisement

এদিকে, তৃণমূলের জয়ের পরে ভোট পরবর্তী সময়ে দুষ্কৃতীদের শাসানি এবং হামলার মুখে বহু বিজেপি কর্মী ও নেতারা ঘরছাড়া হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি পটাশপুর এবং ভগবানপুরে অনেকে বাড়ি ফিরে এলেও এখনও কর্মীদের একাংশ বাড়ির বাইরে রয়েছেন বলে বিজেপির দাবি। শাসকদলের চাপের মুখেও নিজেদের দলীয় কর্মসূচি গুটিয়ে নিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। এগরায় যে তেমন কর্মসূচি হয়নি, তা মানছেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘জেলাভিত্তিক কাঁথিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি একটু বেশি হচ্ছে। এগরা মহকুমায় কিছু সাংগঠনিক দায়িত্ব বদল করায় রাজনৈতিক কর্মসূচি কম হয়েছে। আগামী দিনে বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া প্রস্তুতি চলছে। শাসকদলের ভয়ে বিজেপি কখনও মাথা নত করেনি। আগামী দিনেও করবে না।’’

বিজেপির এই পরিসস্থিতিতে হাতিয়ার করছে তৃণমূলও। দল ভাঙিয়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আনার চেষ্টা করাচ্ছে তারা। তৃণমূলের ছোট ছোট বুথ সাংগঠনিক বৈঠকে, কোথাও অঞ্চল সাংগঠনিক সভায় তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন বিজেপি থেকে আসা কর্মী সমর্থকেরা। পটাশপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পীযূষ পন্ডা বলেন, ‘‘বিজেপির সংগঠন বলতে পটাশপুরে কিছু নেই। স্বৈরাচারী বিজেপির উপর আস্থা হারিয়ে অনেকেই তৃণমূলে ফিরছেন। আগামী দিনে এই দলের বিরোধী আসন ধরে রাখার ক্ষমতাটুকু
থাকবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন