Madhyamik Candidate Death

পশ্চিম মেদিনীপুরে উদ্ধার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ! মানসিক চাপ? উত্তর খুঁজছে ডেবরার পুলিশ

পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। কী কারণে এই পদক্ষেপ, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৪১
Share:

পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় উদ্ধার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর মুখেই উদ্ধার এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় পরীক্ষার্থীর দেহ। মৃতের নাম অনন্যা দাস (১৬)। বাড়ি ডেবরা ব্লকের ভোগপুরে। শনিবার দুপুরে বাড়ির তিন তলায় একটি ঘর থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘরের ফ্যান থেকে ঝুলছিল ছাত্রীর দেহ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

Advertisement

কী কারণে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিশোরী কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ডেবরা থানার পুলিশ। পরিবার সূত্রে খবর, ডেবরার বালিচক গার্লস্‌ স্কুলের ওই প়ড়ুয়াকে শনিবার দুপুর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যেরা প্রথমে তিন তলার ঘরটি খুঁজে দেখেননি। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজির পরও কিশোরীর খোঁজ না-পাওয়ায় তাঁরা তিন তলার একটি ঘরে যান। ওই ঘরেই সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় কিশোরীর নিষ্প্রাণ দেহটি। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন পুলিশকর্মীরা। ওই রিপোর্টটি পেলে মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে পুলিশের কাছে। মৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাবা পেশায় স্কুল শিক্ষক। সে ক্ষেত্রে ওই কিশোরী পরীক্ষা নিয়ে মানসিক চাপে ছিল কি না বা বাড়িতে বকাবকি করা হয়েছিল কি না, তা খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অন্য কোনও সম্ভাব্য কারণ রয়েছে কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অনন্যার এক আত্মীয় জানান, মাসখানেক আগে কিশোরীর অ্যাপেন্‌ডিক্‌সের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। বালিচক গার্লস্‌ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইলোরা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ও আমাদের খুব প্রিয় ছাত্রী ছিল। খুব ভাল নাচ করত। পড়াশোনায় তো ভাল ছিলই। একটা ভাল মেয়েকে আমরা হারালাম।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement