Railway Employee

মৃত্যুর দু’দিন পরেও দেহ পেল না পরিবার   

মৃতের পরিজনদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁধগোড়া অঞ্চলের কলসিভাঙা গ্রামের বাসিন্দা রাইসেন হেমব্রম (৫৩) পেশায় ছিলেন রেলকর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০২:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি

মৃত রেলকর্মীর দেহ পাওয়ার জন্য মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন মহলে ঘুরলেন তাঁর পরিজনেরা। কিন্তু বুধবারও দেহ মিলল না।

Advertisement

মৃতের পরিজনদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁধগোড়া অঞ্চলের কলসিভাঙা গ্রামের বাসিন্দা রাইসেন হেমব্রম (৫৩) পেশায় ছিলেন রেলকর্মী। খড়্গপুরে রেলের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে কাজ করতেন তিনি। সোমবার বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হলে রাইসেনকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনেরা। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রাইসেন কয়েক দিন আগে মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন। জ্বরও হয়। গত রবিবার ঝাড়গ্রামের এক বেসরকারি চেম্বারের চিকিৎসকের কাছে তাঁকে দেখানো হয়। ডায়াবিটিসের রোগী রাইসেনকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু করোনা আবহে হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি রাইসেন।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাইসেনের জ্বর ছিল বলে ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার দেহটির করোনা পরীক্ষা ও ময়না-তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেফারের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সন্দেহভাজন দেহটি কীভাবে মেডিক্যালে পাঠানো হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই বেলা গড়িয়ে যায়।

Advertisement

অবশেষে বুধবার দেহটির লালারসের নমুনা মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। রাতে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আপাতত দেহটি রাখা হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি বাতানুকুল শবাগারে। বৃহস্পতিবার দেহটির ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা।

রাইসেনের ভাই গাজু হেমব্রমের ক্ষোভ, ‘‘দু’দিনেও দাদার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশের কাছে ঘুরেও কোনও সদুত্তর পাইনি।’’

ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটির তরফে কেউই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা ফোন ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই রোগীকে মৃত অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর জ্বরের উপসর্গ ছিল বলে মৃতের ভাই জানিয়েছিলেন। সেই কারণে মৃতদেহের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বুধবার রাতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন