Bombing

Bombing: বোমাবাজি, বাড়ি ভাঙচুরও

দুপুরে নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খেজুরি ও নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:১৩
Share:

ঘটনাস্থলে বোমা। নিজস্ব চিত্র।

হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তে দু'দফায় পূর্ব মেদিনীপুর ঘুরে গিয়েছে সিবিআই। তা সত্ত্বেও, তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ অব্যাহত খেজুরি ও নন্দীগ্রামে।

Advertisement

বুধবার রাতে খেজুরি-১ ব্লকের হেঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেনীপুর গ্রামে ১০ জন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের চালানোর অভিযোগ ওঠে 'বহিরাগত' দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সারারাত ধরে বোমাবাজি চলে বলে বাসিন্দাদের দাবি। গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন জন তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে দাউদপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই বিজেপি কর্মীর মাঠে জোর করে চাষ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ দিন তিনি নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ জানাতে যান। থানা থেকে ফেরার পথে দিলীপ আচার্য নামে ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।

মাছ ধরার বাকি বসানো ঘিরে খেজুরির বেণিপুর এবং দেবিচক গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয় বুধবার সকালে। রাতে সংঘর্ষ শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে পুলিশ গেলেও পুলিশের সামনেই দেবিচক গ্রাম থেকে একদল বহিরাগত দুষ্কৃতী বেনীপুর গ্রামে ঢুকে আট-দশটি বাড়ি এবং বেশ কয়েকটি মোটরবাইকে ভাঙচুর চালায় ও বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে ধরে ফেলে তিন দুষ্কৃতীকে। পরে তাদের তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দলুই বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। দশ জন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা ছুড়েছে তারা। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে ছিল।’’

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ নিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য বিমান নায়ক বলেন, ‘‘গ্রাম্য বিবাদ থেকে সংঘর্ষ বাধে। তাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হয়েছে। আমাদের দলেরও পাঁচ জন কর্মীর বাড়ি ভেঙে দিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। একজনকে অপহরণ করেছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।’’

কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘‘দু'পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। একটি লিখিুত অভিযোগ জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বোমাবাজি হয়েছে কিনা তার তদন্ত হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন