দ্বন্দ্বে বোমাবাজি দাঁতনে

জমি বিবাদে জড়িয়ে গেল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। আর তার জেরেই হল বোমাবাজি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতন-২ ব্লকের বেলদা থানা এলাকার সাবড়াতে। মুক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে একটি জমি নিয়ে এ দিন গোলমাল শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০২:৩৭
Share:

জখম: হাসপাতালে শেখ সামউদ্দিন। নিজস্ব চিত্র

জমি বিবাদে জড়িয়ে গেল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। আর তার জেরেই হল বোমাবাজি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতন-২ ব্লকের বেলদা থানা এলাকার সাবড়াতে। মুক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে একটি জমি নিয়ে এ দিন গোলমাল শুরু হয়। তাতে নাম জড়ায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বাবুল খান ও বসির খানের। এরপর দুই নেতার অনুগামীদের গোলমালে এলাকায় বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ঘটনার সময়ে মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যাওয়ার পথে শেখ সামউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জখম হন।

Advertisement

বেলদার সাবড়া এলাকায় আকছার বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। গত ১৮ মার্চ এই মুক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। তারপর এ দিন ফের বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের অদূরে বসির খানদের পারিবারিক জমি ছিল। তবে বছর কয়েক আগে ওই জমির একাংশ খাস হয়ে যায়। পরে ওই জমি কয়েকজন দখল করলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এর পরে জবরদখলকারীদের পক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসে বাবুল খান। এই নিয়ে বাবুলের সঙ্গে বসিরের গোলমাল শুরু হয়।

এ দিন ফের বসির খানের লোকেরা ওই জমির দখল নিতে গেলে বাবুলের অনুগামীদের সঙ্গে গোলমাল শুরু হয়। এর পরেই মুক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের কাছে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। বাবুলের খানের অভিযোগ, “সরকারি খাস জমি জোর করে দখল করতে চাইছে বসির খান। তাই নিয়ে গোলমাল হয়েছে। সেই সময়ে বসিরের লোকজন আমাদের দলীয় কার্যালয়ের কাছে এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়। সেই সময়ে দু’জন ধরা পড়ে যায়।”

Advertisement

এ দিন বসির অনুগামী শেখ নুরসেলিম ও শেখ সামসুদ্দিন এলাকায় বোমাবাজি করছে অভিযোগ তুলে বাবুল অনুগামীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে ওই দু’জনকে উদ্ধার করে। অভিযোগ অস্বীকার করে বসির খান বলেন, “ওই জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। সেখানে জোর করে দখল করা হচ্ছে। আমি অসুস্থ। বাবুল খানের লোকেরাই ইচ্ছাকৃত এলাকায় অশান্তি ছড়াতে ওঁদের কার্যালয়ের সামনে বোমাবাজি করে আমাদের নাম দিচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন