চার মাসেই ভেঙে ভাসল ডুলুঙের কজওয়ে

৯৭ মিটার লম্বা কজওয়েটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২১ লক্ষ টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়নের নামে পুকুরচুরি হচ্ছে বলেই এত টাকা ব্যয়ে তৈরি কজওয়ে এত তাড়াতাড়ি ভেঙে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৪০
Share:

ভাঙা: ভেসে গিয়েছে কজওয়ে। সাঁকরাইলে। নিজস্ব চিত্র

তৈরি হওয়ার চার মাসের মধ্যেই ডুলুং নদীর জলের তোড়ে ভেঙে গেল কংক্রিটের কজওয়ে। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী পঞ্চায়েতের বনপুরা ও আঁধারি পঞ্চায়েতের কাটমুণ্ডির সঙ্গে সংযোগকারী এই কজওয়েটি সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিতে পুরোপুরি ডুবে গিয়েছিল। জল সরার পরে দেখা যায়, কজওয়ের অনেকটা অংশ ভেঙে একেবারে ভেসে গিয়েছে। এর ফলে বনপুরা থেকে কাটমুণ্ডির সহজ যোগাযোগের রাস্তাটি আপাতত বিচ্ছিন্ন। ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার বহু মানুষ।

Advertisement

৯৭ মিটার লম্বা কজওয়েটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২১ লক্ষ টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়নের নামে পুকুরচুরি হচ্ছে বলেই এত টাকা ব্যয়ে তৈরি কজওয়ে এত তাড়াতাড়ি ভেঙে গেল। কজওয়েটি তৈরির সময় নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ করেছিলেন এলাকাবাসী। প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আনা হলেও তদন্ত হয়নি। উল্টে শাসকদল আশ্রিত ঠিকাদারের হুমকির মুখে অভিযোগকারীদের পড়তে হয়েছিল বলে নালিশ।

কজওয়েটি তৈরির পরে বনপুরা এলাকা থেকে ঝাড়গ্রাম জেলাসদরের দূরত্ব অনেকটাই কমে গিয়েছিল। সপ্তাহে দু’দিন বনপুরায় বড় হাট বসে। আঁধারি অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা বনপুরা হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। ফলে, কজওয়ে ভেঙে যাওয়ায় কাটমুণ্ডির বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েছেন। বনপুরার অঞ্জন জানা, অনুপম সেনরা বলছিলেন, “কজওয়েটি তৈরির সময় নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারে কথা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। তখন আমাদের অভিযোগ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।” অঞ্জনবাবুদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম জেলার উন্নয়নে সব সময় চেষ্টা করছেন। রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। অথচ কাজের নামে প্রহসন হচ্ছে।

Advertisement

সাঁকরাইলের বিডিও বিবেক ভসমে বলেন, “এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement