রাস্তায় ষাঁড়, বেহাল ট্র্যাফিক

ঝাড়গ্রাম জেলা হচ্ছে। আড়ে বহরে বাড়ছে অরণ্যশহর। কিন্তু রাস্তা জুড়ে গদাই লস্করি ভঙ্গিতে চলেছে ওরা। সামনে-পিছনে কী হচ্ছে, ভাবাই চেষ্টাই নেই। ভাবার কথাও অবশ্য নয়।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০১:২৬
Share:

ঝাড়গ্রাম জেলা হচ্ছে। আড়ে বহরে বাড়ছে অরণ্যশহর। কিন্তু রাস্তা জুড়ে গদাই লস্করি ভঙ্গিতে চলেছে ওরা। সামনে-পিছনে কী হচ্ছে, ভাবাই চেষ্টাই নেই। ভাবার কথাও অবশ্য নয়। ওদের উৎপাতেই বিপর্যস্ত ঝাড়গ্রাম শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা। মানুষকে যান-শাসন শেখানো যায়, তাই বলে গরু-বাছুর-ষাঁড়কে!

Advertisement

শহরের ব্যস্ততম এলাকা পাঁচ মাথার মোড়। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থলে আচমকাই হাজির গরু-বাছুরের পাল। কয়েকজন রাজসিক ভঙ্গিতে বসেও পড়ল। সিভিক ভলান্টিয়াররা যান-শাসন করবেন, নাকি গরু তাড়াবেন! নিত্যদিনের এই ছবি দেখতেই অভ্যস্ত অরণ্যশহরের বাসিন্দারা। শহরের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুভাষচক এলাকাতেও একই চিত্র।

শহরের টোটো চালক প্রসেনজিত পাত্র বলেন, “ব্যস্ত সময়ে রাস্তা জুড়ে গরু দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকায় খুবই সমস্যা হয়।” স্টেশন থেকে লোকাল বোর্ড যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে রয়েছে অজস্র সব্জি দোকান। গরুর উপদ্রবে সব্জির ক্রেতা-বিক্রেতা, সাধারণ পথচারী, সাইকেল ও বাইক আরোহীরাও প্রায়ই কুপোকাত হন।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন শিউলি সিংহ মানছেন, গোটা শহরের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ষাঁড়-গরু-বাছুর। ১৯৮২ সালে ঝাড়গ্রাম পুরসভার জন্ম। ৩৫ বছরেও খাটাল উচ্ছেদ সম্ভব হয়নি। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, শহরে এখনও ৪২টি খাটাল রয়েছে। সব ক’টি খাটালই বেআইনি। এ ছাড়া গৃহস্থের বাড়িতে পোষ্য গরু-বাছুর তো আছেই। এরাই রাস্তাঘাটে চরে বেড়াচ্ছে।

পুরসভার নিজস্ব খোঁয়াড় নেই। ফলে, গরু-বাছুর ধরে নিয়ে গিয়েও রাখার জায়গা না থাকায় ছেড়ে দিতে হয়। গরুর মালিকদের অবশ্য পাল্টা দাবি, শহরে চারণভূমির পরিধি কমছে, সেই কারণে অবলা জীবগুলোও খাবারের খোঁজে শহরের রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুরসভার ভাইস চেয়ার পার্সন শিউলি সিংহ বলেন, “সমস্যা নিয়ে পুরবোর্ডে আলোচনা করা হবে।” পুরসভা সূত্রের খবর, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরু-বাছুর ধরে লরিতে চাপিয়ে মেদিনীপুরে প্রাণিবিকাশ দফতরের খোঁয়াড়ে দিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন