প্রতীকী চিত্র।
একটি বাস এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারতেই বাস থামিয়েছিলেন ট্রাফিক পুলিশের এক হোমগার্ড। যাত্রীদের নামিয়ে বাস থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন চালক ও কন্ডাক্টরকে। তবে থানা নয়। বাস যেতে শুরু করে বেলদার উদ্দেশে। পুলিশ বাস আটকে উদ্ধার করে ওই হোমগার্ডকে।
সোমবার রাতের ওই ঘটনায় খড়্গপুর টাউন থানায় চালক ও কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে পুলিশকে নিগ্রহ এবং অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন হোমগার্ড।
ট্রাফিক পুলিশের খড়্গপুর শাখার ওই হোমগার্ড তনয় দে-কে পুলিশ উদ্ধার করলেও দুই অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ ওই বাসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে দিঘাগামী একটি বাস দ্রুত গতিতে খড়্গপুরের ইন্দায় ওটি রোড দিয়ে যাচ্ছিল। কমলা কেবিনের কাছে বেপরোয়া বাসটি সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। সামান্য আহত হন তিনি। সেই সময়ে কমলা কেবিন মোড়ে কর্তব্যরত হোমগার্ড তনয় বাসটি আটক করেন। তিনি চালক ও কন্ডাক্টরকে বাসটি থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। যাত্রীদের নামিয়ে বাসটিকে ফাঁকা করা হয়। এর পরে ওই বাসেই উঠে পড়েন হোমগার্ড। অভিযোগ, এর পরে বাসটি থানায় না গিয়ে কৌশল্যা, বারবেটিয়া হয়ে দ্রুতগতিতে বেলদার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এমনকী, বিষয়টি ফোন করে ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকদের জানাতে চাইলে তনয়বাবুর মোবাইল ফোন সাময়িক সময়ের জন্য কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় বাসের কন্ডাক্টরের সঙ্গে হাতাহাতির পরে তিনি কোনওভাবে মোবাইলে ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে বিষয়টি জানান। এর পরে বেলদা পুলিশ বাস আটক করতে তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ দেখেই বেলদার একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে বাসটিকে দাঁড় করিয়ে পালিয়ে যায় চালক ও কন্ডাক্টর। পরে পুলিশ পৌঁছে বাস থেকে তনয়বাবুকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় বাসটিকে।
চালক ও কন্ডাক্টরের নাম জানা যায়নি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “বেপরোয়া একটি বাসকে আটক করায় বাসটি ট্রাফিকের এক হোমগার্ডকে নিয়ে চলে গিয়েছিল। আমরা বেলদার কাছে বাসটিকে আটক করেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে।”