স্ট্যান্ড নেই, বাস থামে রাস্তায়

নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে লালগড় থানার পাশে একটি কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় থানার পাশে স্ট্যান্ড চালুর ব্যাপারে ওই সময় আপত্তি তোলে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালগড় শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ০১:৩৩
Share:

যানজট: রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস। নিজস্ব চিত্র

নেই বাসস্ট্যান্ড। জনবহুল রাস্তায় যত্রতত্র দাঁড়িয়ে তাকে বাস। লালগড়ে যানজটে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা।

Advertisement

লালগড় ব্লক-সদরকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর, গোয়ালতোড়, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া রুটের ২২ জোড়া বাস প্রতিদিন যাতায়াত করে। স্ট্যান্ড না-থাকায় লালগড়ের হাটচালা বাজারে ও এসআই চকে ঘিঞ্জি রাস্তায় পর পর বাসগুলি দাঁড়িয়ে থাকে। সমস্যায় পড়েন পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বছর খানেক আগে লালগড় পঞ্চায়েত অফিসের কাছে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাস দাঁড়ানোর জন্য স্ট্যান্ড তৈরি হয়নি।

নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে লালগড় থানার পাশে একটি কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় থানার পাশে স্ট্যান্ড চালুর ব্যাপারে ওই সময় আপত্তি তোলে পুলিশ। বাসগুলিও একপ্রান্তের ওই স্ট্যান্ডে দাঁড়াতে রাজি হয়নি। বাস মালিক সংগঠনের দাবি ছিল, থানার পাশে নয়, বরং লালগড় ব্লক সদরের প্রাণকেন্দ্রে কোথাও কেন্দ্রীয় এলাকায় স্ট্যান্ড তৈরি করা হোক। থানার পাশের বাসস্ট্যান্ড-ময়দানটি এখন পুলিশ-প্রশাসনের হেলিপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

Advertisement

২০০৯ সালে জঙ্গলমহলে অশান্তি পর্বে লালগড়ই ছিল মাওবাদী-জনগণের কমিটির আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি। বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে লালগড়ে নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে। কংসাবতীর উপর ঝাড়গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী সেতুও হয়েছে। হয়েছে সরকারি কলেজ, নার্সিং ট্রেনিং কলেজ। চওড়া রাস্তা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাস স্ট্যান্ড তৈরির কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি।

ঝাড়গ্রাম জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নরেশ পাত্র জানালেন, রোজ গড়ে ৪৪টি বাস লালগড়কে ছুঁয়ে যায়। লালগড়ে স্ট্যান্ড না থাকায় যাত্রীদের পাশাপাশি, বাস-কর্মীদেরও সমস্যা হয়। অপরিসর রাস্তায় বেশিক্ষণ বাস দাঁড় করানো যায় না। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে বাসগুলি বেশি সময় অপেক্ষা করে বেশি যাত্রী তুলতে পারত। কিন্তু সেটা না হওয়ায় আখেরে বাসগুলিরই লোকসান হচ্ছে। তাছাড়া জনবহুল রাস্তায় বাস দাঁড়ানোর ফলে যানজটের সমস্যাও হচ্ছে। দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকছে।

এ বিষয়ে লালগড়ের বিডিও জ্যোতিন্দ্রনাথ বৈরাগী বলেন, “বাস স্ট্যান্ড তৈরির জন্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে শীঘ্রই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন