প্রস্তুতি: কাজ প্রায় শেষ। হলদিয়ায় একটি শিল্প সংস্থায় বিশ্বকর্মা পুজোর মণ্ডপ। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। আজ, শনিবারই উদ্বোধন হয়ে যাবে শিল্পশহরের বড় বড় পুজোগুলোর। সন্ধ্যা নামলেই শহর ভাসবে আলোয়। দুই মেদিনীপুর তো বটেই শিল্পশহরে বিশ্বকর্মাপুজোর জাঁক দেখতে পাশের জেলা এমনকী কলকাতা থেকেও মানুষ আসেন।
আসলে বছরের এই একটা দিনেই হলদিয়া বন্দর খুলে দেওয়া হয় আমজনতার জন্য। তাই জাহাজ দেখার জন্যও বহু মানুষ আসেন এখানে। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে। হলদিয়া পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বার বড় শিল্প সংস্থাগুলোর পুজো হচ্ছে ৪৯টি। বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থা ও ব্যক্তিগত বড় পুজো হয় ১৩৫টি।
হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে হলদিয়ায়। রাস্তায় থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াও বলেন, ‘‘মানুষ যাতে রাতে নিরাপদে ঘুরতে পারেন সে জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র বানানো হয়েছে। ইভ টিজিং রুখতে থাকবে বিশেষ দল।’’
তবে এরই মধ্যে পুলিশের মাথাব্যথার কারণ শহরের নজরদারি ক্যামেরাগুলি। সূত্রের খবর, বেশির সিসিটিভি ক্যামেরাই বিকল। পুলিশ সুপার অবশ্য অশ্বাস দিয়েছেন, কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা।
নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছেন পুজো উদ্যোক্তারাও। এক্সাইড-এর পুজোয় কয়েক লক্ষ মানুষ আসেন। সংস্থার নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির উপর জোর দিচ্ছেন তাঁরা। নিরাপত্তা দেখার জন্য বিশেষ সেলও তৈরি করছে এক্সাইড, জানিয়েছেন পুজো কমিটির কর্মকর্তা গোলক দাস। ইন্ডিয়ান অয়েল ঠিকাদার ও কর্মীদের পুজাতেও এ বার থাকছে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড ও ট্যাঙ্কার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতো বড় পুজোগুলিও নিজেরাই সিসিটিভির ব্যবস্থা করে নিয়েছে।