পরিদর্শনে গিরীশচন্দ্র বেরা। — নিজস্ব চিত্র।
আমরি ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছিল স্বাস্থ্য দফতর। সমস্ত সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ বিধি মানা বাধ্যতামূলকও করা হয়েছিল। অভিযোগ, বিষয়টি একটু থিতিয়ে যেতেই যে কে সেই। নামেই দেওয়ালে ঝুলছে অগ্নিনিবার্পক যন্ত্র। যন্ত্রের ব্যবহার কেউ জানে না। আবার কোথাও সেটুকু ব্যবস্থাও নেই।
ফের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পরই টনক নড়ল স্বাস্থ্য–প্রশাসনের। রবিবার সকাল থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা হাসপাতালগুলিতে অগ্নি নিবার্পণ ব্যবস্থার হাল খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন শুরু করেছেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “জেলার একাধিক গ্রামীণ হাসপাতালে এখনও ওই ব্যবস্থা চালু হয়নি। এক মাসের মধ্যেই সমস্ত হাসপাতালে অগ্নিনিবার্পক যন্ত্র বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে দমকলের এনওসি না দেখাতে পারলে লাইসেন্স নবীকরণ হচ্ছে না। তবে শুধু এনওসি দিলেই হবে না, দমকলের সমস্ত নিয়মই মানতে হবে।”
গিরীশবাবু আরও বলেন, “স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশে একটি দল তৈরি করা হয়েছে, যারা প্রতি মাসে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি পরিরদর্শন করবেন। ত্রুটি চোখে পড়লেই প্রথমে শো-কজ করা হবে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম বন্ধ করে দেব।”
সরকারি হাসপাতাল গুলি প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “মহকুমা ও জেলা স্তরের হাসপাতালগুলিতে সব নিয়ম সবই মানা হচ্ছে। তবে জেলার বেশকিছু হাসপাতালে এখনও চালু হয়নি। রোগী কল্যান সমিতির টাকায় এবার ওই যন্ত্র কেনা হবে। দ্রুসরকারি ভাবে ওই যন্ত্রের ব্যবহার সমন্ধে প্রশিক্ষণ-ও দেওয়া হবে।”