Winter Rash

শীতের সময়ে র‌্যাশ, এগ্‌জ়িমার সমস্যা হতে পারে শিশুর ত্বকেও, কী ভাবে যত্ন নেবেন বাবা-মায়েরা?

এগজ়িমার মতো চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে শিশুদের মধ্যেও। শীতের সময়ে ত্বক আরও শুকিয়ে গিয়ে র‌্যাশ, ফুস্কুড়ির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়ে শিশুর ত্বকের যত্নে বাবা-মাকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৪০
Share:

শীতে শুষ্ক হচ্ছে শিশুর ত্বক, র‌্যাশ বেরোলে কী মাখাবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

শীতকাল বলে শুধু নয়, মরসুমের যে কোনও সময়েই যদি শিশুর ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে গিয়ে র‍্যাশ বেরোতে থাকে, তা হলে সতর্ক থাকতে হবে অভিভাবকদের। ঠান্ডার সময়ে শিশুর ত্বক আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। যারা ডায়াপার পরে, তাদের র‌্যাশ-অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আবার অনেক সময়েই দেখা যায়, কোনও খাবার বা ধাতব জিনিস থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে শিশুর। কিন্তু যদি দেখা যায়, ত্বক সব সময়েই শুষ্ক হয়ে খসখসে হয়ে যাচ্ছে বা ত্বকে লালচে র‍্যাশ বেরোচ্ছে, তা হলে বুঝতে হবে, ত্বকেরই কোনও অসুখ বাসা বেঁধেছে। শিশুর ত্বকেও এগজিমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শীতের সময়ে কী ভাবে শিশুর ত্বকের যত্ন নিতে হবে, তা জেনে রাখা জরুরি।

Advertisement

কখন সতর্ক হতে হবে মা-বাবাকে?

শিশুর ত্বকে যদি মাঝেমধ্যে ফুস্কুড়ি, চুলকানির সমস্যা চলতেই থাকে, তা হলে গুরুত্ব নিয়ে দেখা প্রয়োজন।

Advertisement

১-৫ বছর বয়সের মধ্যে এগ্‌জ়িমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাতে, পায়ে, কনুইয়ের কাছে লালচে র‍্যাশ বেরোতে পারে, বড বড় ফোস্কার মতো দেখা দিতে পারে ত্বকে। গাল, থুতনি, কানের পিছন দিকে লালচে র‍্যাশ বেরোতে পারে। পেট, কনুই, ঊরুতেও বড় বড় ফোস্কা পড়বে অথবা ঘামাচির মতো দেখা যাবে। মাথার ত্বকে র‍্যাশ বেরোতে পারে। চামড়া খসখসে এবং পুরু হয়ে যাবে। বেশির ভাগ অভিভাবকই একে সাধারণ র‍্যাশ বলে এড়িয়ে যান। সংক্রমণের জায়গায় বাজারচলতি ক্রিম বা পাউডার লাগিয়ে দেন। ফলে সমস্যা তো কমেই না, উল্টে আরও বেড়ে যায়।


আরও এক ধরনের র‍্যাশ বার হয়, যাকে বলে আরটিকেরিয়া। ২ থেকে ৩ বছরের শিশুদের এমন অ্যালার্জি হতে পারে।

বাবা-মায়েরা কী করবেন?

শিশুর শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা দিলেই ভাল করে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখাতে হবে। শিশুর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজ়ার কেনা জরুরি। সে ক্ষেত্রে প্রতি দিন অন্তত দু’বার ভাল করে ময়েশ্চারাইজ়ার মালিশ করতে পারলে ত্বক নরম ও কোমল থাকবে।

এক কাপের একটু কম হালকা গরম দুধ নিন। তাতে মেশান আধ কাপ ওট্‌স। মিশ্রণটা ঠান্ডা হলে, তা শিশুর ত্বকে মালিশ করতে পারেন। সাবান বেশি না মাখিয়ে এই মাস্ক দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করলে র‌্যাশের সমস্যা দূর হবে।

শিশুর জামাকাপড় সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করাতে হবে শিশুকে। নরম সুতির জামা পরাতে হবে।

ডায়াপার কেনার আগে অবশ্যই ভাল করে দেখে নিন এর কাপড়, কথা বলে নিন চিকিৎসকের সঙ্গে।

শিশুকে স্নান করানোর আগে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল মাখানো যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement