CID

কর্ণ-কাণ্ডে তদন্ত শুরু সিআইডি’র

আদালত চত্বরে পুলিশের খপ্পর থেকে গুলি-বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীদের পালানোর ঘটনায় তদন্তে নামল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৪১
Share:

কাঁথির কুখ্যাত আসামি কর্ণ বেরা। ফাইল চিত্র

আদালত চত্বরে পুলিশের খপ্পর থেকে গুলি-বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীদের পালানোর ঘটনায় তদন্তে নামল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।

Advertisement

মঙ্গলবার সিআইডি’র পূর্ব মেদিনীপুর শাখার দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল কাঁথি আসে। তারা প্রাথমিক তদন্তের জন্য কাঁথি থানা এবং ঘটনাস্থল কাঁথি আদালতে যায়। আদালত চত্বরে যে জায়গায় বোমাবাজি হয়েছিল সেই এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর আদালতে পেশ করার সময় বোমা ও গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে গিয়েছিল কর্ণ বেরা, শেখ মুন্না-সহ চারজন। পরে কর্ণ এবং রথিকান্ত মণ্ডল নামে দু’জন ধরা পরে। কিন্তু বাকিরা এখনও ফেরার।

ওই ঘটনার দিন আদালত চত্বরে কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার দেবকুমার মাইতি রথিকান্তকে ধরে ফেলেছিলেন। তাতে দেবকুমার আহতও হয়েছিলন। এ দিন কাঁথি আদালতে এসে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডির প্রতিনিধিরা। সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে তার খুঁটিনাটি বিবরণ দেবকুমার সিআইডি প্রতিনিধিদের জানান। এছাড়া, কাঁথি আদালতের পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিরা। ঘুরে দেখেন কাঁথি আদালতের হাজত চত্বর। উল্লেখ্য, কাঁথি আদালত চত্বরে কোনও সিসিটিভির ক্যামেরা না থাকায় সে দিনের গুলি-কাণ্ডে আদালত চত্বরের কোনও সিসিটিভির ফুটেজ নেই। তবে, মঙ্গলবার আদালত চত্বরে তিনটি সিসিটিভির ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

Advertisement

আদালত থেকে বোমা-গুলি ছুড়তে ছুড়তে কর্ণ এবং মুন্না বাহিনী কাঁথি শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে একটি মোটরবাইক ছিনতাই করে তারা রথতলার দিকে যায়। সেখানেও বোমাবাজি করে। ওই এলাকায় পরে ধরা পড়েছিল কর্ণ। এ দিন সিআইডি দল পোস্ট অফিস মোড়ে যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলে তারা। সেখান থেকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে যায় দল। ওই হাসপাতালে ঘটনার দিন আহতদের চিকিৎসা হয়েছিল। প্রতিনিধিরা আহতদের আঘাতের ধরন সম্পর্কে খোঁজ নেন। পরে কাঁথি থানায় ফিরে কর্ণ ও মুন্নাদের পুরনো কার্যকলাপের তথ্য সংগ্রহ করেন ওই প্রতিনিধিরা। এ দিন প্রতিনিধি দলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্তের কাজ শুরু করেছি।’’

এদিকে, ওই ঘটনায় ফেরার দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতি মুন্না এবং সুরজিতের এখনও কোনও সন্ধান নেই। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের খোঁজে তদন্তকারী আধিকারিক স্বপন গোস্বামীর নেতৃত্বে পুলিশের এক প্রতিনিধিদল জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে। কাঁথি পুলিশ সূত্রের খবর, থানার পুলিশের দল অন্য জেলাতেও খোঁজ চালাচ্ছে।

এ দিকে কাঁথি আদালত থেকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর কর্ণকে এখন কাঁথি থানায় রাখা হয়েছে। যার ফলে ওই থানার নিরাপত্তা বেশ আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে কর্ণকে কাঁথি থানায় রেখে তদন্ত করা হবে, না কি সিআইডি’র সদর দফতর ভবানীভবনে নিয়ে যাওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সিআইডি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন