রাস্তার ধারে বসে মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠল। রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হলদিয়া টাউনশিপের ঘটনা। সমীরণ পাল নামে ওই যুবককে প্রথমে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দুর্গাচকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে সমীরণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে। ধৃতদের নাম কমল দে, বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং অসীম মান্না। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘মদ্যপ যুবকরা সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
কী ঘটেছিল রবিবার রাতে?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরের রাধাবল্লভচকের বাসিন্দা সমীরণ রাতে টাউনশিপ এলাকায় পুলিশি টহল দিচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি দেখতে পান কয়েকজন যুবক টাউনশিপ এলাকার সেক্টর ১৩ মোড়ে গাছের তলায় বসে মদ্যপান করছে। এই ঘটনার তিনি প্রতিবাদ করেন এবং ওই যুবকদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এতেই ওই যুবকরা সমীরণের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মাটিতে ফেলে তাঁকে বেধরক মারধর করা হয়। এমনকি চোখে ঘুসি মারা হয় বেপরোয়াভাবে। তার ফলে বাঁ চোখ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সেই সময় টহলরত অন্য একটি জিপে থাকা পুলিশদের নজরে আসে ঘটনাটি। তাঁরাই সমীরণবাবুকে উদ্ধার করেন।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সমীরণ বলেন, ‘‘চার বছর ধরে এই কাজ করছি। গত রাতের ঘটনা আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। পুলিশ এসে পড়ায় এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম।” যে এলাকায় এমন ঘটনা ঘটল সেখান থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের আবাসন ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এমন জায়গায় নিরাপত্তা এমন ঢিলেঢালা কেন? এ বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “এমন ঘটনা সমর্থন করি না। শাস্তি হওয়া উচিত দোষীদের। পুলিশ সাহায্য চাইলে আমি সাহায্য করব।”