জমি বিবাদে সংঘর্ষ, জখম ৩

জমি বিবাদ থেকে সংঘর্ষ বাধল কেশিয়াড়িতে। মঙ্গলবার সকালে কেশিয়াড়ির সাঁতরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলাশুনি গ্রামের বাসিন্দা প্রভাকান্ত রাজকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় নাম জড়ায় হরিকিশোর জানা নামে গ্রামেরই এক বাসিন্দার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৫
Share:

জমি বিবাদ থেকে সংঘর্ষ বাধল কেশিয়াড়িতে। মঙ্গলবার সকালে কেশিয়াড়ির সাঁতরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলাশুনি গ্রামের বাসিন্দা প্রভাকান্ত রাজকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় নাম জড়ায় হরিকিশোর জানা নামে গ্রামেরই এক বাসিন্দার। প্রভাকান্তকে বাঁচাতে তাঁর পরিজন ও একাংশ গ্রামবাসী এলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। জখম হন প্রভাকান্ত-সহ তিনজন। এক মহিলার শ্লীতলাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জখম প্রভাকান্তের স্ত্রী কবিতা রাজ থানায় অভিযোগ করেন। তার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিকিশোর জানাকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের একাংশ বাসিন্দার সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ রয়েছে হরিকিশোরের। গত বছর খুড়তুতো দাদা উমাশঙ্কর জানার সঙ্গে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ বাধে হরিকিশোরের। জানা পরিবারের ১ একর ৫২ ডেসিমেল জমি রয়েছে। সেই জমির একটি অংশ নিয়ে উমাশঙ্কর ও হরিকিশোরের বিরোধ। তখনও থানা-পুলিশ হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বদলায়নি। গ্রামবাসীর অভিযোগ, গ্রামের প্রত্যেকের সঙ্গে ইচ্ছাকৃত অশান্তি করেন হরিকিশোর। মহিলাদের উত্যক্ত করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উমাশঙ্কর বলেন, “আমার খুড়তুতো ভাই হরিকিশোর গত বছর অকারণে আমার জমির আল কেটে চাষে ক্ষতি করায় গোলমাল হয়েছিল। পুলিশে জানিয়েও সুফল পাইনি।’’

সম্প্রতি হরিকিশোরদের একটি জমিতে থাকা দীর্ঘদিনের বর্গাদার জগদীশ রাজকে জমি ছাড়তে বলে। এমনকী জগদীশের অতিরিক্ত পরিমাণ ধান চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যদিও হরিকিশোরের কথা মতো জগদীশ ধান দেননি। তাই দিন তিনেক আগে গোলমাল হয় গ্রামে।

Advertisement

এ দিন সকালে জগদীশের ছেলে প্রভাকান্ত ভীমমেলা স্টপে নিজের চা দোকান খুলতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, হরিকিশোর তখন তাঁকে বাড়িতে টেনে নিয়ে গিয়ে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে প্রভাকান্তের স্ত্রী ও দাদা এলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়।

এর পর গ্রামের একাংশ বাসিন্দা এলে হরিকিশোর তাদের লক্ষ করে পাথর ছোড়ে, লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেই সঙ্গে হরিকিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে প্রভাকান্তের স্ত্রী অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ হরিকিশোরকে গ্রেফতার করে। কবিতা বলেন, “আমার স্বামীকে বেঁধে মারধর করায় বাঁচাতে এসেছিলাম। সেই সময় সকলকে মারধর করেছে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন