Mamata Banerjee

‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে হাজির মুখ্যমন্ত্রী, মিশে গেলেন মানুষের সঙ্গে

রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারে গিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কাউন্টারের এক কর্মী অনিন্দ্যসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কেমন চলছে ক্যাম্পের কাজ? ক্যাম্পে আসা কোনও মানুষ যেন বঞ্চিত না হন, সমস্যায় না পড়েন সে দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:০৬
Share:

মেদিনীপুরের ক্যাম্পে মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুরে জেলাশাসক কার্যালয় চত্বরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারও হাতে তুলে দিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তো কাউকে দিলেন জাতিগত শংসাপত্র। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকে তাঁদের নানা সমস্যার কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মন দিয়ে শোনেন সেই সব কথা। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে যান তাঁর কাছে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মাঝেই মানুষের সঙ্গে এক প্রকার মিশে যান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মেদিনীপুর ছাড়ার আগে ১০ মিনিটের জন্য জেলাশাসকের দফতরের দুয়ারের সরকার ক্যাম্পে যান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলাদা কোনও মঞ্চ তৈরি হয়নি এখানে। জেলাশাসক রশ্মি কোমল, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার ডেকে নেন কয়েক জন মানুষকে। একটি কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।

মুখ্যমন্ত্রী ক্যাম্পে বছর দশেকের জেনিফা হোসেনের হাতে তুলে দেন জাতিগত শংসাপত্র। মেদিনীপুর শহরের মিয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা জেনিফার বাবা সেখ রফিজুল হোসেন জানিয়েছেন, জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন। সোমবার জানতে পারেন মঙ্গলবার জেলাশাসকের দফতর চত্বরে আসতে হবে। সেই শংসাপত্র যে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পাবেন তা কল্পনাও করেননি। খুব ভাল লাগছে মুখ্যমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে।

Advertisement

মেদিনীপুরের শেখপুর এলাকার বাসিন্দা বছর সত্তরের সাবেরা বিবি বলেন, “আমিও মুখ্যমন্ত্রী হাত থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড পেয়েছি। খুব ভাল লাগছে আনন্দ হচ্ছে। আশা ছিল ওনার সঙ্গে দেখা করার কথা বলার। সে আশা পূর্ণ হল।” আর ২ জনের হাতে জাতিগত শংসাপত্র ও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারে গিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কাউন্টারের এক কর্মী অনিন্দ্যসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কেমন চলছে ক্যাম্পের কাজ? ক্যাম্পে আসা কোনও মানুষ যেন বঞ্চিত না হন, সমস্যায় না পড়েন সে দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও আরও কয়েকটি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্র তুলে দেন মানুষের হাতে। সেখানে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তুষার শিংলা, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী সেখানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজার সঙ্গে কথা বলেন। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে তিনি হেলিপ্যাডের উদ্দেশে রওনা দেন। মেদিনীপুর থেকে তিনি রানিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক-সহ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যন্ত্রীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন