দাঁতনে পঞ্চায়েতে টাকা তছরুপের নালিশ

অভিযোগের তদন্তে নামেন বিডিও। একটি কমিটি গঠন করে চলে তদন্ত। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই নির্বাহী সহায়ককে দফায়-দফায় জেরা করা হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০১:২৫
Share:

গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়কের নামে পুলিশে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ জানালেন বিডিও। বুধবার দাঁতন থানায় তররুই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক সুদীপ সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষ।

Advertisement

গত মে মাসে ওই নির্বাহী সহায়কের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল তররুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান। গত ৫ জুন পঞ্চায়েত অফিসে এসে তদন্ত শুরু করেন বিডিও। তদন্তের পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ দিন বিডিও ওই নির্বাহী সহায়কের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সরঞ্জাম কেনা বাবদ এজেন্সিকে সরাসরি ফান্ড ট্রান্সফার অর্ডারে টাকা দেওয়া হয়। সম্প্রতি তররুই পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পে প্রায় ৯০লক্ষ টাকা এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও ওই টাকার মধ্যে প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকার হিসেব পাওয়া গেলেও বাকি টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছিল না। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে পঞ্চায়েতে। পরে দেখা যায়, ছায়া সাহা নামে এক মহিলার নামে থাকা এক এজেন্সিকে বাকি টাকা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এমনকী ওই এজেন্সির নামে ২০১৫ সাল থেকে পরপর তিনটি অর্থবর্ষে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা নানাভাবে জমা পড়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নির্বাহী সহায়ক সুদীপবাবু মা ছায়া সাহার নামে এজেন্সি খুলে ফান্ড ট্রান্সফার অর্ডারে টাকা পাঠিয়েছেন। তারপরেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়।

অভিযোগের তদন্তে নামেন বিডিও। একটি কমিটি গঠন করে চলে তদন্ত। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই নির্বাহী সহায়ককে দফায়-দফায় জেরা করা হচ্ছিল।

খতিয়ে দেখা যায় পঞ্চায়েতের আর্থিক লেনদেনের সমস্ত কাগজপত্র। গ্রামবাসীদের একাংশ ওই নির্বাহী সহায়ককে গ্রেফতারের দাবিও তোলেন। শেষমেশ জেরায় ওই নির্বাহী সহায়ক ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন বলে দাবি।

এরপরেই ওই নির্বাহী সহায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিডিও।

বিডিও বলেন, “ওই নির্বাহী সহায়কের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করেছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার ওই নির্বাহী সহায়ক নিজে যে টাকা ওর মায়ের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিল তা ফেরত দিয়ে দেয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আসলে ওর মায়ের বৈধ এজেন্সি থাকলেও ওই টাকা পাওয়ার কথা ছিল না। তাই অভিযোগ দায়ের করেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement