লক্ষ্মণে না, সোমেনের কাছে দরবার নেতাদের

সেদিনই কলকাতায় প্রদেশ দফতরে যাওয়ার পথে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, যোগদানের অনুষ্ঠান আজ হচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১৩
Share:

লক্ষ্মণ শেঠ। —ফাইল চিত্র।

তমলুকের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল কিছুদিন আগেই। গত বৃহস্পতিবার অনুগামীদের নিয়ে কলকাতা প্রদেশ অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর যোগদানের সূচিও নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেদিনই কলকাতায় প্রদেশ দফতরে যাওয়ার পথে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, যোগদানের অনুষ্ঠান আজ হচ্ছে না।

Advertisement

ওই ঘটনার পর লক্ষ্মণের কংগ্রেসে যোগদান থমকে গেলেও সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আনোয়ার আলির নেতৃত্বে দলের বেশ কয়েকজন ব্লক সভাপতি-সহ একদল কংগ্রেস নেতা- কর্মী প্রদেশ অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানান। এদিন বিকেলে আনোয়ার আলি ও তমলুক মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য, জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবাজী গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ নেতা প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নেওয়ায় আপত্তির পাশীপাশি কয়েক দফা দাবিও জানান।

গত ২৫ জানুয়ারি আনোয়ার আলিকে জেলা কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই পদে আনা হয়েছে ময়নার প্রাক্তন বিধায়ক মানিক ভৌমিককে। আনোয়ার ও তাঁর অনুগামীরা প্রদেশ সভাপতির কাছে দাবি জানান, সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যাওয়া লক্ষ্মণ শেঠকে কংগ্রেসে নেওয়া চলবে না। জেলায় দলের বর্তমান ব্লক সভাপতিদেরও তাঁদের পদ থেকে সরানো চলবে না। আসন্ন লোকসভা ভোটে জেলায় তমলুক ও কাঁথি কেন্দ্রে দলের প্রার্থী দিতে হবে।

Advertisement

এ দিন আনোয়ার বলেন, ‘‘আমরা প্রদেশ সভাপতিকে জানিয়েছি নন্দীগ্রামকাণ্ডে অভিযুক্ত লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নেওয়া হলে জেলায় দলের ক্ষতি হবে। দলীয় কর্মী সমর্থকদের মনোবল নষ্ট হবে। সোমেনবাবু আমাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন