রবিবার ছুটির দিনে প্রত্যন্ত এলাকার উপ ডাকঘরএবং শাখা ডাকঘরগুলি খোলা থাকলেও টাকার অভাবে পুরনো নোট বিনিময় হয়নি। গ্রাহকরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও তুলতে পারেননি।
গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে অবশ্য পুরনো নোটে টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। লিঙ্ক সমস্যার জন্য কয়েকটি ডাকঘরে অবশ্য টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে না। পরিষেবার এমন মানে ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মধ্যে।
রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ বিনপুরের দহিজুড়ি উপ ডাকঘরে টাকা না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। পোস্টমাস্টার তপন গায়েনকে ডাকঘর থেকে টেনে বার করে দেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের ক্ষোভের জেরে ডাকঘর বন্ধ করে দিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন পোস্টমাস্টার।
পরে অবশ্য দুপুর ১ টা নাগাদ পুলিশের প্রহরায় ডাকঘর খোলা হয়। কেবলমাত্র পুরনো নোটে সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা নেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামের হেড পোস্ট মাস্টার চণ্ডীচরণ মণ্ডল বলেন, “ব্যাঙ্ক থেকে পর্যাপ্ত টাকা মিলছে না। সে জন্য আমরা উপ ডাকঘরগুলিতে চাহিদা মতো টাকা দিতে পারছি না। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় টাকা দেওয়া যায়নি। মঙ্গলবার উপ ডাকঘরগুলিতে কিছু টাকা পাঠানো হবে।”
টাকা বাতিলের গোরোয় প্রভাব পড়ল মেলায়! জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে দাসপুরের টালিভাটায় এখন মেলা চলছে। বুধবার সাত দিনের মেলা শুরু হয়েছে ফুটবল মাঠে। পঁয়ত্রিশ বছর ধরে চলছে এই মেলা। রয়েছে খাবারের স্টল থেকে পোশাকের স্টল । কিন্তু দোকানদাররা ৫০০ এবং ১০০০ টাকা নোট নিচ্ছেন না। মেলায় দোকান দিয়েছেন সবংয়ের বাসিন্দা মিলন দাস। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি বছর ভাল কেনাবেচা হয়। নোট বাতিলের গেরোয় কেনাবেচা অনেক কম।’’ পুজো কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, নোট বাতিলে মার খেয়েছে মেলার বাজার।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, কালো টাকা উদ্ধারের নাম করে রাতারাতি মানুষকে হয়রানিতে ফেলে দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করল ঘাটাল ব্লক তৃণমূল। রবিবার ঘাটালের কামারডাঙায় ওই সভায় ছিলেন দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই প্রমুখ।