জনতার হাতে আটক এক ঠিকাদারকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের মারধরেরঅভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় লালগড়ের রামগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় ওই এলাকা দিয়ে গাড়িতে লালগড় যাচ্ছিলেন ঠিকাদার এস এন দে। তিনি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রামগড় থেকে দাসবাঁধ হয়ে বড় ধানশোলা যাওয়ার পিচ রাস্তা তৈরিরসাব কন্ট্রাক্ট পেয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত দু’বছরেও রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। প্রায় মাস ছয়েক হল কাজটি একেবারেই বন্ধ রয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তাটি এখন চলাফেরার অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভ রয়েছে।
এ দিন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ রামগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই ঠিকাদারকে দেখতে পেয়ে তাঁর গাড়ি আটকান দাসবাঁধের কিছু বাসিন্দা। ঠিকাদারের গাড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। খবর পেয়ে রামগড় ফাঁড়ির পুলিশ আসে। অভিযোগ, পুলিশকর্মীরা বিনা প্ররোচনায় বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠি চালায়। গ্রামবাসীদের চড়-থাপ্পড়-ঘুসি মারা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের মারে জখম হন দু’জন।
পুলিশ অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।ফোন ধরেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারও। লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণগোপাল রায় অবশ্য বলেন, “প্রায়ই ওই বেহাল রাস্তায় পড়ে গিয়ে জখম হচ্ছেন সাইকেল আরোহী ও পথচারীরা। ফলে, এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির বক্তব্য, “দু’বছর ধরে কাজটা অসমাপ্ত রয়েছে। ঠিকাদার কোনও কাজই করছেন না। তাঁকে একাধিক বার চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। জনতার এই ক্ষোভ সঙ্গত।”