জগন্নাথ মন্দির রং করার কাজ শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
করোনা পরিস্থিতিতে এ বার রথযাত্রা উৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মেদিনীপুরের জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটি।
ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ওই কমিটির আলোচনা হয়েছে। প্রশাসন এ বার উৎসব বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে ওই কমিটিকে। মেদিনীপুরের জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটির সম্পাদক পল্টু সেন মানছেন, ‘‘রথযাত্রাকে ঘিরে এ বার মেদিনীপুরে উৎসব হবে না। মেলাও বসবে না।’’ যেটুকু আচার-অনুষ্ঠান করতে হয়, সেটুকুই করা হবে।’’ পরশু, শুক্রবার স্নানযাত্রা। আগামী ২৩ জুন রথযাত্রা। স্নানযাত্রার দিনে মন্দিরের সামনে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহকে নিয়ে গিয়ে স্নান করানো হয়। জল আনা হয় কংসাবতী নদী থেকে। পল্টু বলেন, ‘‘স্নানযাত্রার আচার-সীমিত সংখ্যক লোক নিয়েই হবে।’’
তবে কি এ বার মেদিনীপুরে রথের রশিতে টান পড়বে না? জানা যাচ্ছে, রথের রশিতে টান না পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। জগন্নাথমন্দিরের কিছু দূরেই নতুনবাজারে রয়েছে ‘মাসিরবাড়ি’। রথযাত্রার দিনে রথ মন্দিরের সামনে থেকে বেরিয়ে মেদিনীপুর শহর পরিক্রমা করে ‘মাসিরবাড়ি’-তে পৌঁছত। কেউ কেউ চাইছেন এ বারও রথ বেরোক। শহর পরিক্রমা না করে রথ সরাসরি পৌঁছক ‘মাসিরবাড়ি’-তে। এ ক্ষেত্রেও ভিড়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রথযাত্রার দিন মন্দিরের পাশে কোনও ঘরে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের বিগ্রহ রাখা হতে পারে। সেই ঘরটিকেই ‘মাসিরবাড়ি’ হিসেবে ধরা হতে পারে।
মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘‘রথযাত্রা উৎসবে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। তাই উৎসব বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। কমিটিও জানিয়েছে, এ বার উৎসব নয়, সীমিত সংখ্যক লোক নিয়ে শুধু আচার-অনুষ্ঠান করা হবে।’’
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘আচার-অনুষ্ঠানে প্রশাসনের তরফে কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে প্রশাসন নিশ্চিত ভাবে তা করবে।’’ কমিটির সম্পাদক পল্টু বলেন, ‘‘প্রশাসন যে ভাবে বলবে, সে ভাবেই সব হবে। সরকারি বিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কম সংখ্যক লোক নিয়ে আচার-অনুষ্ঠান হবে।’’