Coronavirus in Midnapore

হাফ সেঞ্চুরির পথে বড়মা

প্রায় দু’মাস ধরে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে মেচগ্রামের বড়মা হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৩:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

আক্রান্তের সংখ্যা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে এক দিন আগেই। এবার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি করতে চলছে পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতাল।

Advertisement

প্রায় দু’মাস ধরে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে মেচগ্রামের বড়মা হাসপাতালে। একশো শয্যা বিশিষ্ট এই করোনা হাসপাতালে এই প্রথম একসঙ্গে ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর। পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘরে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে করোনা সংক্রমণে হার বেড়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ থেকে
চিকিৎসকেরাও উদ্বিগ্ন।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সরকারি উদ্যোগে মেচগ্রামের বড়মা মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে শুরু হয় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা। প্রথম দিকে এখানে রোগী ভর্তির হার কম থাকলেও সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসার পর থেকে রোগী ভর্তির হার এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওযা খবর অনুসারে, বড়মায় ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা হাসপাতাল সূত্রের খবর, রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বড়মায় ১২ জন নতুন আক্রান্তকে ভর্তি করানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁচ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সাত জন রয়েছেন।

Advertisement

অবশ্য রোগী সংখ্যা বাড়লেও বড়মা হাসপাতালে একসঙ্গে ২১০ জন রোগীর চিকিৎসা করার মত পরিকাঠামো বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। হাসপাতালের ১০০টির বাইরেও শয্যা মজুতও রাখা আছে বলে দাবি। বড়মা হাসপাতালের নোডাল অফিসার শচীন্দ্রনাথ রজক বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে বড়মা হাসপাতালে ৪৯ জন করোনা আক্রন্ত চিকিৎসাধীন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।’’

অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকের ফেরার বিরাম নেই জেলায়। যা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের কাছে মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ। এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ন'হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন। আরও কতজন ফিরে আসবেন এখনই সেটা বলা যাচ্ছে না। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি অথবা সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে রয়েছেন। আশা কর্মীরা তো তাঁদের খোঁজ খবর রাখছেনই। পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নজর রাখতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন