Coronavirus

‘নিশ্চয়যান’ চালকের সংস্পর্শে আসা ৫ জন নেগেটিভ

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রসকুণ্ডু গ্রামের ওই অন্তঃসত্ত্বাকে প্রসব বেদনা ওঠায় গত ১৪ এপ্রিল ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান পরিজনেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা আক্রান্ত ‘নিশ্চয়যান’ চালকের সংস্পর্শে আসা ৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় প্রাথমিক স্বস্তি চন্দ্রকোনা রোডের রসকুণ্ডু গ্রামে। তবে ওই চালকের অ্যাম্বুল্যান্সের সওয়ারি এই গ্রামের এক প্রসূতি ও তাঁর সদ্যোজাতের করোনা রিপোর্ট এখনও আসেনি। ফলে, উদ্বেগ পুরোপুরি যাচ্ছে না।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রসকুণ্ডু গ্রামের ওই অন্তঃসত্ত্বাকে প্রসব বেদনা ওঠায় গত ১৪ এপ্রিল ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান পরিজনেরা। সে দিনই তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে 'রেফার' করা হয়। 'নিশ্চয়যানে' চাপিয়ে মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সিজার করে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন বছর চব্বিশের ওই যুবতী। মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে মা ও সদ্যোজাতকে ছেড়ে দেওয়া হয় ২০ এপ্রিল। ২৩ এপ্রিল ঘাটালের ওই 'নিশ্চয়যান' চালকের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসতেই উদ্বেগ বাড়ে। ওই চালকের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, কারা কারা ওই অ্যাম্বুল্যান্সে যাতায়াত করেছেন তার খোঁজ নেওয়া শুরু করে প্রশাসন।

ঘাটাল হাসপাতালের 'রেফার-বুক' দেখে জানা যায়, চন্দ্রকোনা রোডের রসকুণ্ডু গ্রামের ওই প্রসূতির কথা। ওই চালক 'নিশ্চয় যানে' মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবতীকে। এরপরই ওই প্রসূতি ও তাঁর বাড়ির লোকজনকে নিভৃতবাসে পাঠানোর নির্গেশ আসে। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে 'নিশ্চয় যানে' কে কে ছিলেন সেই তথ্য নেন। এরপরই প্রসূতির শ্বাশুড়ি, ননদ, এক আত্মীয়া এবং আরও ২ জনের খোঁজ মেলে। ২৪ এপ্রিল এই ৫ জনকেই মেদিনীপুরে করোনা হাসপাতালে (লেভেল ১) পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। শনিবার রাতে জেলা ও ব্লক স্বাস্থ্যদফতরের কাছে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘রসকুণ্ডুর ৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। নবজাতক-সহ মায়ের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে, সে রিপোর্ট এখনও আসেনি।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও রসকুণ্ডুর এই পরিবারের ৫ জনকে চন্দ্রকোনা রোডে নিভৃতবাস কেন্দ্রেই রাখা হয়েছে। মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে (লেভেল ১) রাখা হয়েছে নবজাতক ও মাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement