Corona

সেফ হোমে নীল-সাদা রং

দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় ওই ওয়ার্ডের  ভিতরের অংশ ভাঙাচোরা হয়ে গিয়েছিল। বাইরেও ছিল ঝোপঝাড়। সেসব পরিষ্কার ও মেরামত করে, জানলার মরচে ধরা লোহার রড বদল করা হচ্ছে। ওয়ার্ডের  চার দিকে নীল-সাদা রং করে প্রবেশপথে লিখে দেওয়া হয়েছে ‘কোভিড ১৯ - সেফ হোম’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:১০
Share:

চালুর অপেক্ষায় সেই সেফ হোম। নিজস্ব চিত্র

উপসর্গহীন করোনা রোগীদের রাখার আগে সেফ হোমে হচ্ছে নীল-সাদা রং। যা নিয়ে প্রশাসনকে বিঁধেছে বিরোধীরা। গড়বেতা ৩ (চন্দ্রকোনা রোড) ব্লকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই সেফ হোমটি হচ্ছে ডিগরিতে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই সেটি চালু হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, আগে ঠিক ছিল চন্দ্রকোনা রোডের একটি বেসরকারি লজে সেফ হোম করা হবে। তবে সেক্ষেত্রে লজের ভাড়া হিসেবে প্রশাসনকে মোটা টাকা দিতে হতো। সেই টাকার সংস্থান না হওয়ায় সরকারি কোনও জায়গার খোঁজ শুরু হয়। অনেক খোঁজার পরে ডিগরির সরকারি যক্ষ্মা হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত ওয়ার্ডকে চিহ্নিত করা হয়। মূল যক্ষ্মা হাসপাতাল থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত বড় হলঘরের মতো ওই ওয়ার্ডটিকে ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে পরিষ্কার করে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

Advertisement

দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় ওই ওয়ার্ডের ভিতরের অংশ ভাঙাচোরা হয়ে গিয়েছিল। বাইরেও ছিল ঝোপঝাড়। সেসব পরিষ্কার ও মেরামত করে, জানলার মরচে ধরা লোহার রড বদল করা হচ্ছে। ওয়ার্ডের চার দিকে নীল-সাদা রং করে প্রবেশপথে লিখে দেওয়া হয়েছে ‘কোভিড ১৯ - সেফ হোম’। সম্প্রতি শালবনি করোনা হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাল হয়েছে অব্যবস্থার বেশ কিছু ভিডিয়ো (আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি)। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে নীল-সাদা রং করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গড়বেতা ৩ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা বিজেপির গৌতম কৌড়ি। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাব ও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ প্রতিদিনই সামনে আসছে। সেখানে সেফ হোমে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের নীল-সাদা রং করে কী হবে? উপযুক্ত পরিকাঠামো তো থাকবে না!’’

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকাশদীপ সিংহ ও কর্মাধ্যক্ষ জ্ঞানাঞ্জন মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘বিজেপি সব কিছুতেই রাজনীতি খোঁজে। সেফ হোমের জন্য যা পরিকাঠামো দরকার এখানে সবই থাকবে। ওই ওয়ার্ডটি পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক করে জল, পাখা, আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

Advertisement

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন