বিজেপি-র পঞ্চায়েতে  উপ-প্রধান বাম, কড়া আলিমুদ্দিন

গুরুত্বপূর্ণ দলীয় পদে থেকেও তিনি যে ভাবে বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে বোর্ড গঠনে সাহায্য করেছেন তা অনুমোদন করছে না সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানিকপাড়া শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

উপপ্রধান পদ ছাড়তে হবে। ছাড়তে হবে বিজেপি-র সঙ্গও। না হলে মহাশিস মাহাতোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিল আলিমুদ্দিন। মহাশিস সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা সিটুর জেলা সম্পাদক। গুরুত্বপূর্ণ দলীয় পদে থেকেও তিনি যে ভাবে বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে বোর্ড গঠনে সাহায্য করেছেন তা অনুমোদন করছে না সিপিএম।

Advertisement

বছর চল্লিশের মহাশিস এ বার মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডিহা গ্রাম সংসদ থেকে জিতেছেন। মানিকপাড়া পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ৭টি পেয়েছিল তৃণমূল। বিজেপিও জিতেছিল ৭টি আসনে। ২৭ অগস্ট মহাশিসের সমর্থনেই বিজেপির কল্যাণী মুদি প্রধান হন। বোর্ডও গড়ে গেরুয়া শিবির। উপপ্রধান পদ পান মহাশিস।

এতেই অস্বস্তি শুরু হয়েছে সিপিএমের অন্দরে। দলের কর্মীদের একাংশ মনে করাচ্ছেন, বিজেপি-র সঙ্গে সমঝোতার অভিযোগে পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে জেলা সম্পাদক মণ্ডলীয় সদস্য বাদল রানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তখন বাদল সিটুর জেলা সম্পাদক ছিলেন। তিনি সরে যাওয়ার পরে মহাশিস ওই পদ পান। স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই বাদলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আর মহাশিস যা করেছেন, তা সকলেই দেখছেন। ফলে, দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

সিপিএমের প্লেনামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বিজেপি এবং তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা চলবে না। তবে নানা জায়গাতেই বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে বাম-বিজেপি সমঝোতার ছবি সামনে আসছে। যেমন বিজেপির সমর্থনে গোপীবল্লভপুরের সাতমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড দখল করেছে সিপিএম। ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অবশ্য বিজেপি-র। এ নিয়ে কার্যত মৌন ছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে মহাশিস দলীয় পদে থাকায় বিষয়টি জটিল হয়েছে। সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে বলেন, “মহাশিসের এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দল অনুমোদন করছে না। তাঁকে অবিলম্বে উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।” মহাশিসের অবশ্য দাবি, তিনি কোনও ভুল করেননি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনতার ক্ষোভ এবং জনাদেশকে মর্যাদা দিতেই তিনি উপপ্রধান হয়েছেন। যদি দল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়? মহাশিসের জবাব, “তখন দেখা যাবে।” বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, মহাশিস তাঁদের দলে যোগ দিতে চাইলে সব সময়ই স্বাগত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন