অনুজ পাণ্ডে। নিজস্ব ছবি।
৮ বছর পর মুক্তি পাচ্ছেন নেতা। বাইরে ফুলের মালা হাতে স্বাগত তাঁকে জানানোর জন্য মুখিয়ে ছিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে সংশোধনাগার থেকে বেরিয়েই ছুট দিলেন নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুজ পাণ্ডে। ছুটে গিয়ে উঠে পড়লেন গাড়িতে!
গত বৃহস্পতিবারই নেতাই মামলায় দুই অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু ওই দিন জামিনের কাগজপত্র জেল কর্তৃপক্ষের কাছে এসে না পৌঁছনোয় মুক্তি পাননি অনুজ। তাঁর মুক্তির তারিখ পিছিয়ে হয় সোমবার। সেই মতোই জেলের বাইরে হাজির হন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। কিন্তু সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে দৌড়ে গাড়িতে উঠে পড়েন অনুজ। দৌড়নোর কারণ জানতে চাওয়া হলে গাড়ির দরজা লাগিয়ে কাচ তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় হকচকিয়ে যান দলীয় কর্মীদের কেউ কেউ। যদিও দলের একাংশের মত, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্ন এড়াতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অনুজ।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাইয়ে রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতে থাকা সিপিএমের ‘সশস্ত্র শিবির’ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় নিহত হন ৪ জন মহিলা-সহ ৯ জন গ্রামবাসী। আহত হন অন্তত ২৮ জন। সেই ঘটনাতেই অভিযুক্ত অনুজেরা। ওই হত্যাকাণ্ডের সময়ে ডালিম ছিলেন সিপিএমের ধরমপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক। তিনি অনুজের তুতো ভাইও। নেতাইয়ের ঘটনার পর ডালিম পালিয়ে যান। পরে ২০১৪-র ৩০ এপ্রিল হায়দরাবাদ থেকে ডালিম, তপন-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের মে মাস থেকে তাঁরা জেলবন্দি। গত ৩১ জানুয়ারি জামিন পান অনুজেরা।