এলাকার ঘরছাড়াদের বিষয়টি যে ভাবাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে তার প্রমাণ মিলল রবিবার সকালে। হলদিয়া জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে নন্দীগ্রামের ঘর ছাড়াদের নিয়ে আগেই রিপোর্ট তলব করেছিলেন নজরদারি দল। সেই তথ্য নিতে নন্দীগ্রাম সরেজমিনে দেখতে গেল দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলি, এই চার জেলার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিশেষ নজরদারি দল। নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ভি কে সিংহ। সব রাজনৈতিক দলকে আগাম ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। নন্দীগ্রাম বিডিও অফিসে সেই মাফিক হাজিরও ছিলেন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা। ছিলেন না একমাত্র বাম প্রতিনিধিরা। অথচ ঘরছাড়াদের ফেরানোর দাবিতে সবথেকে বেশি সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরাই।
জানা গিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সওয়াল করে। হলদিয়ার মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু নস্কর জানান, ঘরছাড়াদের যে শতাধিক মানুষের তালিকা জেলা বামফ্রন্ট প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছিল, তালিকা ধরে তাঁদের খোঁজ নিয়েছে নজরদারি দল। এ দিন ভি কে সিং বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে ভোটের সময় যাতে সকলে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।’’ হলদিয়ার পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন ঘর ছাড়াদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অনেককেই ইতিমধ্যে ঘরে ফেরানো হয়েছে, বাকিদেরও ঘরে ফিরতে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।’’
কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বামেরা গরহাজির কেন? নন্দীগ্রামের সিপিএমের জোনাল সম্পাদক স্বপন বেরার কথায়, ‘‘আমাদের সঙ্গে প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আমরা হাজির হতে পারিনি। পরে লিখিত অভিযোগ বিশেষ পর্যবেক্ষকের কাছেজমা দেব।’’