—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুকে খুনের দায়ে শাস্তি পেলেন মুর্শিদাবাদের এক যুবক। অপরাধের প্রায় তিন বছর পরে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কান্দির ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
২০২২ সালের ৮ অক্টোবর ভোরে ভরতপুর থানা এলাকায় খুন হন জনৈক কাজল দত্ত। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ৪৭ বছরের ওই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু এবং প্রতিবেশী সুমন্ত সেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধিপুরের বিল পার হওয়ার সময় কাজলের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় আততায়ীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন কাজল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাক্রমে কাজলের স্ত্রী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে কাজলের বন্ধু সুমন্তকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুমন্তের বয়ানে বিভিন্ন অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। ঘটনাক্রমে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের ‘ট্রায়াল মনিটরিং সেল’-এর বিশেষ নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ হয়। আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। জানা যায়, ব্যবসায়িক কারণে কাজলকে খুন করান বন্ধু।
ফরেন্সিক রিপোর্ট এবং সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, সুমন্ত পরিকল্পনা করে বন্ধুকে খুন করিয়েছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিয়েছে আদালত। সরকারি আইনজীবী সুনীল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে পিছন থেকে ছুরি বসিয়ে কাজলকে খুন করা হয়েছিল। আদালত সমস্ত প্রমাণ বিবেচনা করে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।’’ কান্দি মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সাশ্রেক আম্বাদর বলেন, ‘‘পুলিশি তৎপরতা এবং সঠিক মনিটরিংয়ের ফলেই দ্রুত সাজা ঘোষণা সম্ভব হয়েছে।’’