বিক্ষোভ: নিজস্ব চিত্র।
সরকারি বরাদ্দের রেশন উপভোক্তাদের না দিয়ে বস্তা ভর্তি চাল-গম পাচারের অভিযোগ ছিলই। সেই সঙ্গে দোকানে গেলে গ্রাহকদের সঙ্গে দোকানের মালিক দুর্ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে ক্ষোভ ছিল বাসিন্দাদের। শুক্রবার রেশনে পোকা লাগা গম ও চাল বিলির অভিযোগে ওই রেশন ডিলারকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা।
দাসপুরের ঘনশ্যামবাটি গ্রামের ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা রেশন ডিলার মদনমোহন পালকে মারধর কর বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় দাসপুর থানার পুলিশ। পৌঁছে যান খাদ্য দফতরের কর্তারাও। কিন্তু তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। ঘণ্টা দু’য়েক পরে ঘটনার সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গ্রাহকদের দাবি, “অভিযুক্ত ওই রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করতে হবে। সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।”
মহকুমা খাদ্য আধিকারিক পিটাররঞ্জন বর বলেন, “বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। আপাতত সংশ্লিষ্ট ডিলারকে রেশন সামগ্রী বিলি বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
পুলিশ ও খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, মদনমোহন পাল নামে ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে উপভোক্তাদের ঠিকঠাক রেশন না দেওয়ার অভিযোগ পুরনো। সরকারি চাল, গম-সহ অন্যান্য সামগ্রী গ্রাহকদের না দিয়ে তা তিনি অন্যত্র পাচার করে দিতেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কম সরবরাহের অজুহাত দিয়ে বরাদ্দের চেয়ে অনেক কম চাল-গম বিলির অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল গ্রাহকদের। শুক্রবার তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেশন ডিলারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলে তাঁর মোবাইল স্যুইচড অফ ছিল।