বুলবুল-বৈঠকে কল্পতরু শুভেন্দু

শুক্রবারে সকালের ওই বৈঠকে যোগ দেন রাজ্য সরকারের পূর্ত, সেচ-জলপথ, বিদ্যুৎ, মৎস্য এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, খাদ্য ও সরবরাহ, জন স্বাস্থ্য ও কারিগরি,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪০
Share:

শুক্রবার কোলাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে। সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করেতে এবং দুর্গতদের দ্রুত ত্রাণ-ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দিতে কোলাঘাটের বলাকা মঞ্চে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

শুক্রবারে সকালের ওই বৈঠকে যোগ দেন রাজ্য সরকারের পূর্ত, সেচ-জলপথ, বিদ্যুৎ, মৎস্য এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, খাদ্য ও সরবরাহ, জন স্বাস্থ্য ও কারিগরি,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব। এছাড়া ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী।

বৈঠকে জানা যায়, বুলবুলের প্রভাব বেশি পড়েছে রামনগর-১, ২, কাঁথি-১, ৩, খেজুরি-১, ২ ,নন্দীগ্রাম-১, ২ এবং দেশপ্রাণ ব্লকে। কৃষি ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ ৫৮৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা। সেচ ও জলপথ বিভাগ চার কোটি, পূর্ত (সড়ক) বিভাগ এক কোটি ৬০ লক্ষ, পূর্ত তমলুক ডিভিশন এলাকায় পাঁচ কোটি, মৎস্য চাষে ১০ কোটি, বিদ্যুৎ বণ্টনে পাঁচ কোটি, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর এক কোটি টাকার ক্ষতির রিপোর্ট জমা দিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে ২১ কোটি টাকা ক্ষতির রিপোর্টও জমা পড়েছে। তবে সেচ এবং বন দফতের রিপোর্ট পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ দিন।

Advertisement

বুলবুল পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ আসে নন্দীগ্রাম-২, খেজুরি ব্লক-সহ একাধিক জায়গার জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। অভিযোগ উঠে আসে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়েও। বৈঠকে এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস বলেন, ‘‘রাস্তাঘাট একেবারে বেহাল। দিদিকে বলো কর্মসূচিতে গিয়ে এলাকার মানুষজনের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।’’ তিনি ফসল বিমার টাকা দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে আবেদনও করেন।

বৈঠক-কথা

• সেচ ও জলপথ: চার কোটি

• পূর্ত (সড়ক): এক কোটি ৬০ লক্ষ

• পূর্ত তমলুক ডিভিশন: পাঁচ কোটি

• মৎস্য চাষে: ১০ কোটি

• বিদ্যুৎ দফতর: পাঁচ কোটি

• প্রাণী সম্পদ : এক কোটি (* গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পে ২১ কোটি টাকা)

• বোরো চাষ শুরুর আগেই চাষিদের ফসল বিমার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

• জেলার ইঁটভাটা থেকে ইঁট কিনে বেহাল রাস্তাগুলি মেরামত করা যেতে পারে।

—শুভেন্দু অধিকারী

সমরেশের দাবি শুনে শুভেন্দু পূর্ত দফতরের প্রধান সচিবকে পরামর্শ দেন, জেলার ইঁটভাটা থেকে ইঁট কিনে বেহাল রাস্তাগুলি মেরামত করা যেতে পারে। কৃষি-ক্ষতির পরিমাণে অবশ্য উদ্বেগ শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টাকে বলেছি বোরোচাষ শুরুর আগেই যাতে কৃষকদের হাতে ফসলবিমার ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে।’’ পাশাপাশি শুভেন্দু জানান, ঝড়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির পরিবারকে দু’দফায় দু’লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

ফসল বিমা এবং কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে এ দিন মখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘বুলবুল দুর্গত এলাকাগুলিতে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রুত দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ভাবনা চিন্তা করছি। আশা করছি এটা আমরা করতে পারব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন