dam

Dam repair: দ্রুত বাঁধ সারাতে এল ড্রেজ়ার

নিম্নচাপের অতিবৃষ্টিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পটাশপুরের তালছিটকানির কাছে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। তাতে পটাশপুর, ভগবানপুর, চণ্ডীপুর, ময়না এবং এগরার একাংশ প্লাবিত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৩৮
Share:

তালছিটকানির কাছে ড্রেজার দিয়ে কাছের বল্লা পোঁতা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

দিন দশেক আগে শুরু হয়েছে ভাঙা বাঁধের মেরামতির কাজ। কিন্তু সেই কাজের গতি যেমন বাড়েনি, তেমনই এখনও পর্যন্ত ভাঙা অংশে দিয়ে কেলেঘাই নদীর জল ঢোকাও রোখা যায়নি। অপেক্ষাকৃত ছোট নদীর ভাঙা বাঁধ মেরামত করতে সেচ দফতরকে যে পরিমাণে বেগ হচ্ছে, তা সামাল দিতে নৌকার উপরে চাপিয়ে শেষ পর্যন্ত আনা হল দু’টি ড্রেজ়ার। এই মেশিনের সাহায্যে মহালয়ার দিনের শেষে জল ঢোকা বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়েছে সেচ দফতর।

Advertisement

নিম্নচাপের অতিবৃষ্টিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পটাশপুরের তালছিটকানির কাছে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। তাতে পটাশপুর, ভগবানপুর, চণ্ডীপুর, ময়না এবং এগরার একাংশ প্লাবিত হয়। বাঁধ ভাঙার পরে স্থানীয়েরা প্রাথমিক ভাবে বালির বস্তা ফেলে তা মেরামতের চেষ্টা করেন। কিন্তু জলের প্রবল স্রোত এবং আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ থাকায় দ্রুত তাতে তেমন লাভ হয়নি। টানা ১০ দিন প্রবল বেগে জল জনবসতি এলাকায়
ঢুকতে থাকে।

জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সেচ দফতরের আধিকারিকেরা গত ২৩ সেপ্টেম্বর নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন। প্রশাসনের নির্দেশ নৌকার সাহায্যে নদীর বুকে কাঠের বল্লা পুঁতে এবং বালির বস্তা ফেলে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে সেচ দফতর। কিন্তু স্রোতের মুখে কাঠের বল্লা ও মাটির বস্তা ফেলে জল আটকাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল সেচ দফতরকেও। এভাবে দ্রুত নদী বাঁধ মেরামতির করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। গত ১ অক্টোবর এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। কাজের গতি দেখে সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা পরে ওই এলাকায় ড্রেজ়ার নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

এর পরে বাধ ভাঙার ১৯ দিনের মাথায় গত সোমবার হলদিয়া থেকে তালছিটকিনির কাছে ভেসেলে করে নিয়ে আসা হয়েছে দুটি ড্রেজ়ার। ভেসেলের উপর ড্রেজ়ারগুলি রেখে নদীর বাঁধ মেরামতির দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু করা হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রের খবর, ড্রেজ়ারগুলি খুব সহজেই কাঠের বল্লা বাঁধের ভাঙা অংশে নদীর বুকে আড়াআড়ি ভাবে পুঁতে একটি দেওয়াল তৈরি করছে। আর সেই অংশে মাটি ভর্তি বড় বড় বস্তা ফেলছে। কাঠের বল্লাগুলি জলের স্রোতে মাটির বস্তা ভেসে যেতে বাধা দিচ্ছে। সোমবার কাজ শুরু দিন মহালয়ার মধ্যে বাঁধ বাঁধা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল।

ড্রেজার এনে আগে কেন এভাবে বাঁধ মেরামত করা হচ্ছিল না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করছেন স্থানীয়েরা। তাঁদের বক্তব্য, তা হলে অন্তত এত দিনে তাঁদের জলযন্ত্রণা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলত। এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘আসলে প্রথমে ভাবা হয়েছিল যে, নৌকায় করে বাঁধ মেরামতি সামাল দেওয়া যাবে। তবে সেই কাজ করতে যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছিল। তাই হলদিয়া থেকে দুটি ড্রেজ়ার নিয়ে এসে দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। আগামীকাল নদী বাঁধের ভাঙা অংশের জল ঢোকা সম্পূর্ণ বন্ধ করার লক্ষ্য রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন