Dengue

ডেঙ্গি, প্রচারে পথে পড়ুয়ারা

সম্প্রতি নয়াগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এলাকায় পদযাত্রা করে। ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী বলছিলেন, “মশাবাহিত রোগ এড়াতে গেলে সচেতনতা খুব জরুরি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২৮
Share:

বার্তা: সচেতনতা বাড়াতে পদযাত্রা পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র

ডেঙ্গি রোধে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারে সামিল হল স্কুল পড়ুয়ারাও। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই সচেতনতা প্রচার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার যেমন শালবনির ভাদুতলায় সচেতনতা প্রচার হয়। ভাদুতলা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা এলাকায় এক পদযাত্রা করে। পদযাত্রা থেকে ডেঙ্গি রোধের বার্তা দেওয়া হয়। মশার উপদ্রব ঠেকাতে এলাকার পরিবেশ পরিষ্কা রাখার অনুরোধ জানায় পড়ুয়ারা। স্কুল ও আশেপাশের এলাকায় সাফাই কর্মসূচিও হয়।

Advertisement

সম্প্রতি নয়াগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এলাকায় পদযাত্রা করে। ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী বলছিলেন, “মশাবাহিত রোগ এড়াতে গেলে সচেতনতা খুব জরুরি। স্কুল এলাকায় আরও সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। সকলে যত বেশি সচেতন হবেন তত ভাল।” এখন জেলার একের পর এক স্কুলে এই শিবির হচ্ছে। শিবিরে থাকছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা-সহ অনান্য স্বাস্থ্যকর্তারা।

অনেকগ স্কুলে-কলেজে সচেতনতা বাড়াতে ক্যুইজও হচ্ছে। ক্যুইজের মাধ্যমে পড়ুয়াদের সচেতন করার চেষ্টা চলছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু মানছেন, “মশাবাহিত রোগ নিয়ে সকলকে সচেতন হতেই হবে। স্কুলস্তর থেকে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।” জেলার অন্য এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় ডেঙ্গির মতো রোগ গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এই সমস্যা দূর করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আরও সচেতন হতে হবে।” তাঁর কথায়, “জমা জলই যে বিপদের অন্যতম কারণ, সচেতনতা প্রচারে এটাই বেশি করে জানানো হচ্ছে। স্কুল- কলেজের সচেতনতা শিবিরে এটা প্রচার করা হচ্ছে।” গত বছর মশাবাহিত রোগ চরম আকার নিয়েছিল। গ্রাম- শহরে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় বহু মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বারও পরিস্থিতি
প্রায় এক।

Advertisement

ইতিমধ্যে জেলায় ৪০৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। বেসরকারি সূত্রে অবশ্য দাবি, আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি। ডেঙ্গি আক্রান্তদের মধ্যে স্কুল- কলেজের পড়ুয়ারাও রয়েছে। পরিস্থিতি দেখে পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

মশাবাহিত রোগ কী ভাবে ছড়ায়, সমস্যার সমাধানের পথ কী, এ সবই স্কুলে জানানো হচ্ছে। স্কুল চত্বর, স্কুল হস্টেল চত্বর এবং স্কুলের আশেপাশের এলাকা পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলোর সচেতনতা প্রচারে স্লোগানও থাকছে। নয়াগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সচেতনতা প্রচারে যেমন স্লোগান ছিল, ‘আপনার স্বাস্থ্য, আমাদের অহঙ্কার।’

রোগ মোকাবিলায় সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রচারের কাজে যুক্ত হয়েছে প্রশাসনও। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “গ্রামাঞ্চলে যত প্রচার হবে ততই ভাল। মানুষ সচেতন হলেই মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।” তাঁর কথায়, “আমরা বিভিন্ন ব্লকে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছি। আরও প্রচার হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement