খন্দপথে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত, ক্ষুব্ধ দাঁতন

প্রায় ২২ কিলোমিটার লম্বা সড়ক পথ। যার প্রায় সবটাই ছোট-বড় নানা খনাখন্দে ভরা। প্রতিদিন এই পথেই যাতায়াত করেন বহু মানুষ। চলাচল করে ট্রেকারও। দীর্ঘ দিন বেহাল পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:১৭
Share:

রাস্তার হাল এমনই।নিজস্ব চিত্র।

প্রায় ২২ কিলোমিটার লম্বা সড়ক পথ। যার প্রায় সবটাই ছোট-বড় নানা খনাখন্দে ভরা। প্রতিদিন এই পথেই যাতায়াত করেন বহু মানুষ। চলাচল করে ট্রেকারও। দীর্ঘ দিন বেহাল পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই।

Advertisement

দাঁতন ১ ব্লকের সরাইবাজার থেকে দাঁতন ২ ব্লকে জাহালদা পর্যন্ত যাওয়া সড়কটির এখন এমনই হাল। দুই ব্লকে যোগাযোগ স্থাপনে এই সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঝেমধ্যে খানাখন্দে মোরাম ফেলে রাস্তা সমান করার চেষ্টা করা হলেও ধুলোর ঝড়ে নাকাল হন পথচারীরা। ফলে, ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্রুত সংস্কার হওয়া উচিত বলে মনে করেন বাসিন্দারা। কিন্তু কবে সংস্কার হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দাঁতনে।

দিঘা-খড়্গপুর রাজ্য সড়কের সঙ্গে জাহালদার কাছে সংযুক্ত এই পথ দাঁতনে যোগাযোগের মেরুদণ্ড বলে মনে করেন অনেকে। দাঁতন ১ ব্লকের সরাইবাজার, চাউলিয়া, শরশঙ্কা, শালিকোটা, মেনকাপুর ও দাঁতন ২ ব্লকের তুরকা, পুরুলদা, পোরলদা ও জাহালদা-সহ একাধিক গ্রামের মানুষ এই সড়কের উপরে নির্ভরশীল। মেনকাপুরের পান ব্যবসায়ী কমল সাহু বলেন, “এই সড়কের শেষ সংস্কার কবে হয়েছে মনে পড়ে না। তবে বছর খানেক ধরে এই সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। ট্রেকারে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আর পান পাঠাতে মোটর ভ্যানে ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে। এই রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা হোক।”

Advertisement

এ দিকে, রাস্তা সংস্কার কে করবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা। এই রাস্তাটি জেলা পরিষদের অধীন। তবে একসময়ে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের টাকায় জেলা পরিষদ এই রাস্তার সংস্কার করেছিল। কিন্তু এই তহবিলে এখন জেলা পরিষদে আসা টাকায় এই সড়কের সংস্কার সম্ভব নয় বলে দাবি জেলা পরিষদের। দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান এই প্রসঙ্গে বলেন, “সরাইবাজার-জাহালদা সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমিও মনে করি এই সড়ক সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য পূর্ত দফতরকে সড়কটির দায়িত্ব নিতে বলেছি। আশা করি দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।” জেলা পরিষদে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “ওই সড়ক পূর্ত দফতর নিতে গেলে জমি জরিপ প্রয়োজন। আমরা ওই সড়ক-সহ জেলার ১০টি সড়কের জমি জরিপের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে বলেছি। সেখানে কাজের চাপ থাকায় সময় লাগছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন