সামনে বিয়ে, নোটের চোটে বিপাকে মেয়ের বাবা

নোটের চোটে চিন্তায় কনের বাবাও!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৪
Share:

অপেক্ষা। শনিবার মেদিনীপুরের একটি এটিঁএমের সামনে। — নিজস্ব চিত্র।

নোটের চোটে চিন্তায় কনের বাবাও!

Advertisement

দিন কয়েক আগে মেয়ের বিয়ের জন্য ডাকঘর থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা তোলেন মেদিনীপুর শহরের বল্লভপুরের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী সুনীল মাইতি। আগামী ২১ নভেম্বর সুনীলবাবুর মেয়ের বিয়ে। সরকারি নির্দেশের জেরে পাঁচশো, এক হাজার টাকার নোট অচল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। ফের তা ডাকঘরে গিয়ে জমা দিয়ে এসেছেন।

এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সুনীলবাবু। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, সপ্তাহে ২০ হাজার টাকা করে পেলেও দু’সপ্তাহে ৮০ হাজার করে চার জন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পেতে পারেন। তা দিয়ে যদি কিছুটা মুখ বাঁচানো যায়। সুনীলবাবু বলেন, “ব্যাঙ্কগুলি সেই টাকাও দিতে রাজি হচ্ছে না। একটি সমবায় ব্যাঙ্ক ১০ হাজারের পরিবর্তে ২ হাজার টাকা দিল। দু’টি ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ৪ হাজারের বেশি দিতে পারবে না। ২১ নভেম্বর মেয়ের বিয়ে। হাতে মাত্র ১০টি দিন। এখন কী করি বলুন তো!” তাঁর কথায়, ‘‘নোটের ধাক্কায় এ ভাবে সামাজিক হেনস্থার মুখে পড়তে হবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। এখনও অনেক জিনিস কেনাও যে বাকি। টাকা তুলতে না পারায় সমস্যা হচ্ছে।”

Advertisement

ওই একদিনে বিয়ে দাঁতনের শ্যামাপদ কামিল্যার মেয়েরও। প্রয়োজন মতো টাকা না মেলায় সমস্যায় পড়েছেন তিনিও। কোনওমতে গত তিনদিনে যে ২০হাজার টাকা ব্যাঙ্ক থেকে পেয়েছেন তা দিয়ে বিয়ের কাজ চালানো অসাধ্য বলে শ্যামাপদবাবুর দাবি। শ্যামাপদবাবু বলেন, “জামাকাপড় ও আসবাবপত্র কেনা বাকি। এখনই প্রায় ১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু ২০ হাজার টাকার বেশি জোগাড় করতে পারিনি। কী ভাবে মেয়ের বিয়ে সুষ্ঠু ভাবে দেব বুঝতে পারছি না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement