মধ্যমণি: অনুষ্ঠান মঞ্চে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে দেব। নিজস্ব চিত্র
নিজের নির্বাচনী এলাকায় এসে এলাকাবাসীর পাশে থাকার বার্তা দিলেন তারকা সাংসদ দেব। এমনকী সাংসদ না থাকলেও তিনি ঘাটালবাসীর পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিলেন। সোমবার ডেবরায় এক বিজয়া সম্মিলনীতে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব বলেন, ‘‘আমি সাংসদ থাকি বা না থাকি ঘাটাল লোকসভার যে কোনও সমস্যায় আমাকে আপনারা পাবেন। সত্যি আপনাদের ভালবেসে ফেলেছি।”
এ দিন ডেবরা অডিটোরিয়ামে দেবের ব্যবস্থাপনাতেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। ডাকা হয়েছিল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সব বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, সরকারি আধিকারিক ও তৃণমূল কর্মীদের। মঞ্চে ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি, জেলা কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ প্রমুখ। সকলের মুখেই দেবের প্রশংসা শুনতে পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে বলতে শোনা যায়, “আমার ধারণা, দেবের হয়তো কোনও দিন বয়স হবে, উনি হয়তো অন্য কোথাও অন্য কিছু করবেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত ওঁর আকর্ষণ সারা জীবন থাকবে।” আর তারকা-সাংসদ বলেন, “চার বছর আগেও ভাবিনি যে একদিন আমি এমন মঞ্চে বক্তৃতার সুযোগ পাব। আমি রাজনীতির কথা বলতে পারি না। তবে আমি ছিলাম, আছি ও ভবিষ্যতে আপনাদের পাশে থাকব।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও চাপা থাকেনি। অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ব্লকের নেতা তথা সাংসদ প্রতিনিধি অলোক আচার্য। অলোক-বিরোধী ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের অনেককেই অবশ্য দেখা যায়নি। মঞ্চে ছিলেন না ডেবরার বিধায়ক সেলিমা বিবি। তাঁর দাবি, “আমার মা একটু অসুস্থ। তাই যাইনি।” অনুষ্ঠানে গরহাজির তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রতন দে-র বক্তব্য, “সব কারণের তো উত্তর হয় না। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী অন্য জায়গায় এসেছি।” ব্লকের আর এক তৃণমূল নেতা প্রদীপ করের বক্তব্য, “আমি অসুস্থ।”
অনুষ্ঠান মঞ্চে অবশ্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন দেব। তিনি বলেন, “আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যদিও আমাদের পশ্চিম মেদিনীপুরে যে একতা রয়েছে, তাতে কাজে আমরা পশ্চিমবঙ্গে অনেকটা এগিয়ে রয়েছি। তবে আমাদের মানুষের জন্য আরও কাজ করতে হবে, মানুষের পাশে থাকতে হবে।”