বিরিয়ানি থেকে ধোসা, পথসাথীতে পেটপুজো

হোটেলের মতোই পথসাথীতে একদিকে যেমন সাধারণ ঘর রয়েছে, তেমনই রয়েছে বাতানুকূল ব্যবস্থার সুবিধাযুক্ত ঘরও। ভাড়াও আর পাঁচটা হোটেলের থেকে বেশি নয়। পথসাথীগুলো দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের। মূলত, মহাসঙ্ঘই এগুলো দেখভাল করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৭ ১৩:০০
Share:

পথের-সাথী: পেটপুজোর নয়া ঠিকানা। —নিজস্ব চিত্র।

বিরিয়ানি থেকে মোগলাই পরোটা, পনির পকোড়া থেকে ধোসা— এমনই নানা জিভে জল আনা খাবার মিলবে ‘পথসাথী’তে।

Advertisement

শুধু রকমারি খাবার নয়, পথসাথীতে মিলবে থাকার জায়গাও। ভিন্ রাজ্য কিংবা অন্য জেলা থেকে অনেকে মেদিনীপুরে আসেন। কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন, এ সব ভেবেই তাঁদের কালঘাম ছোটে। তাঁদের কথা ভেবেই মূলত, জাতীয় সড়কের পাশেই পথসাথী তৈরি হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেবরা, খড়্গপুর গ্রামীণ, নারায়ণগড় এবং ঝাড়গ্রামে পথসাথী হয়েছে।

হোটেলের মতোই পথসাথীতে একদিকে যেমন সাধারণ ঘর রয়েছে, তেমনই রয়েছে বাতানুকূল ব্যবস্থার সুবিধাযুক্ত ঘরও। ভাড়াও আর পাঁচটা হোটেলের থেকে বেশি নয়। পথসাথীগুলো দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের। মূলত, মহাসঙ্ঘই এগুলো দেখভাল করছে। একমাত্র নারায়ণগড়ে এখনও মহাসঙ্ঘ গড়ে ওঠেনি। এখানে কয়েকটি সঙ্ঘ মিলে পথসাথী দেখভাল করছে।

Advertisement

রকমারি নানা পদ রান্নার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হোটেল ম্যানেজমেন্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জেলা গ্রামোন্নয়ন সেলের প্রকল্প আধিকারিক নিবেদিতা রায় বলছিলেন, “পথসাথীতে এসে মানুষজন যাতে নতুন নতুন খাবারের স্বাদ নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই পথে বেরিয়ে খাঁটি বাঙালি খাবার খোঁজেন। এখানে তাও মিলবে।”

কী কী খাবার মিলবে পথসাথীতে? ভাত, রুটি, বিরিয়ানি, মাছ, মাংস তো রয়েছেই। সঙ্গে মিলবে সব্জির কাটলেট, পালংশাকের পকোড়া, আলু ভাজা, ইডলি, সম্বর, নারকেলের চাটনি, ধোসা, রোল, পনির রোল, পনির পকোড়া, মাংসের পকোড়া, মোগলাই পরোটা। মিলবে মাছের কাটলেট, ফিস ফিংগার, মাছ ভাজা, মাছের কালিয়া, ইলিশ মাছের পাতুরি, সর্ষে ইলিশ, চিংড়ি মাছের মালাই কারি, পাঁচ মিশালি সব্জি, চিকেন হরিতালি, রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট, ধোকার ডালনা, আলু পোস্ত, পোস্ত বড়া, গুড়ের পায়ে, ইলিশ মাছের পাতুরির মতো পদও।

জেলা গ্রামোন্নয়ন সেলের প্রকল্প আধিকারিক নিবেদিতাদেবী বলছিলেন, “এই সব পদের রন্ধনশৈলী শেখানোর জন্যই পথসাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের হোটেল ম্যানেজমেন্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই সব পদের উপকরণ কী, প্রণালী কী, কী ভাবে রান্না করতে হয়, সবই শেখানো হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তাও বলছিলেন, “অনেকে রেস্তোরাঁয় যান নতুন নতুন খাবারের স্বাদ নিতে। এ বার পথসাথীতেও সাবেকি বাঙালি রান্না চেখে দেখার হাতছানি থাকছে!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement