দিঘার সৈকত। পর্যটকের অপেক্ষায়। নিজস্ব চিত্র
হোলির ছুটি। সঙ্গে সপ্তাহান্ত। দুইয়ে মিলে ভিড় বাড়িয়েছে উপকূল শহর দিঘায়।
আগামী ১ ও ২ মার্চ দোল এবং হোলির ছুটি। ৩ মার্চ, শনিবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ছুটি। আর ৪ মার্চ রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি। কার্যতঃ টানা চার দিনের ছুটি। এই টানা কয়েকদিনের ছুটিতেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন আমোদ প্রিয় বাঙালি। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই গন্তব্য দিঘা। আগামী মাসের শুরুতেই হোটেলগুলিতে যে পরিমাণে বুকিং হয়েছে, তাতে খুশি হোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের আগমনের আশায় সতর্ক পুলিশ প্রশাসন।
‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “হোলি ১ মার্চ। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই অধিকাংশ হোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। আর এই হোলিতে পর্যটকদের জন্য কয়েকটি হোটেলে বিশেষ মনোরঞ্জনের ব্যাবস্থা থাকছে।’’ তবে ছুটির মরসুমে হোটেল রুম বুকিংয়ের জন্য কিছু অসাধু দালাল চক্রও মাথা চাড়া দিয়ে উঠে বলে তিনি জানিয়েছেন। এবার হোটেল মালিকরা এ নিয়ে বেশি সজাগ রয়েছেন। বিপ্রদাসবাবু বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অর্থের বেশি দামে কোনও পর্যটককে রুম দেওয়া হচ্ছে, এমন খবর পেলে সংশ্লিষ্ট হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি দিঘায় গিয়ে এ বিষয়ে হোটেল মালিকদের সতর্ক করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিঘায় এখন সমুদ্র তেমন উত্তাল নয়। আবহাওয়াও বেশ মনোরম। সকালে কুয়াশা ঢাকা সৈকত, একটু বেলা বাড়লেই ফের ঝকঝকে রোদ। এমন সময়ে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন দিঘাতে। ছুটিতে দিঘায় ব্যাপক জনসমাগম হবে, তা ধরে নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে প্রশাসনও।
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পার্থ ঘোষ জানান, “অনেক আগে থেকেই সব হোটেল বুকড্। এ খবর আমরা জানি। তাই এই সময়ের জন্য দিঘায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী নামানো হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দিঘায় ঢোকার মুখে এবং ওডিশার সীমানায় নাকা চেকিং আরও কড়া করা হচ্ছে। নুলিয়া এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সব ছুটি বাতিল করে টহলদারির সময় বাড়ানো হচ্ছে। সমুদ্রে নজরদারিতে থাকছে কোস্টাল পুলিশ।’’
বিপুল পর্যটকের আগমনে এলাকায় যাতে দূষণ না ছড়ায়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, “এই সময়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হবে। যেখানে সেখানে পিকনিক করতে দেওয়া হবে না।’’