হলুদ বেলুন পেরোলেই শ্রীঘরে

দিঘায় সমুদ্র সৈকতে গেলেই চোখে পড়বে সৈকত থেকে কিছু দূরে সমুদ্রের উপরে ভাসছে এই ধরনের বেলুন। পর্যটকদের সমুদ্রে স্নান করার ক্ষেত্রে যাতে ডুবে মৃত্যু না ঘটে তা আটকাতেই নিরাপত্তার জন্য এই বেলুন। তাতে নির্দেশ, ‘বেলুনের ওপারে যাওয়া যাবে না’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:২১
Share:

দিঘার সমুদ্রে পর্যটকদের সতর্ক করতে হলুদ বেলুনের সীমানা। নিজস্ব চিত্র

কুড়ি ফুট লম্বা গাঢ় হলুদ রঙের বেলুন। বেলুনের উপর বড় বড় করে লেখা সতর্কবার্তা—‘ডু নট ক্রস দ্য লাইন’।

Advertisement

দিঘায় সমুদ্র সৈকতে গেলেই চোখে পড়বে সৈকত থেকে কিছু দূরে সমুদ্রের উপরে ভাসছে এই ধরনের বেলুন। পর্যটকদের সমুদ্রে স্নান করার ক্ষেত্রে যাতে ডুবে মৃত্যু না ঘটে তা আটকাতেই নিরাপত্তার জন্য এই বেলুন। তাতে নির্দেশ, ‘বেলুনের ওপারে যাওয়া যাবে না’।

ডিএসডিএ (দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ) জানা গিয়েছে, অনেক পর্যটকরা স্নান করতে গিয়ে নুলিয়া বা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে সমুদ্রের গভীরে চলে যান। তার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। পর্যটকদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এ বার এই হলুদ বেলুন দিয়ে সমুদ্রের নির্দিষ্ট দূরত্বে সীমারেখা বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পর্যটন দফতর। তবে কতটা দূরত্বে এই বেলুন থাকবে তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। এ বিষয়ে আরও সমীক্ষা করে দূরত্ব ঠিক হবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

দিঘা, শংকরপুর মন্দারমণি ও তাজপুর পর্যটন কেন্দ্রের প্রতিটিতে আপাতত ১৫টি করে মোট ৬০টি বেলুন ভাসানোর পরিকল্পনা করেছে পর্যটন দফতর। দফতর সূত্রে প্রকাশ, প্রতিটি বেলুনের জন্য খরচ হচ্ছে ৩২ হাজার ৯৫০ টাকা। বেলুনগুলিতে থার্মোকল ভর্তি রয়েছে যাতে সেগুলি ডুবে না যায়।

নিউ দিঘার মেরিনা ঘাট থেকে পুলিশ হলিডে হোম ঘাট পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় এই হলুদ রঙের বেলুন ভাসানো হয়েছে। পর্যটকদের বেলুন টপকে না যেতে সতর্ক করছেন সৈকতে টহলরত নুলিয়ারা। কিন্তু নিরাপত্তার এমন ব্যবস্থায় বাদ সেধেছে সমুদ্রের বড়বড় ঢেউ। বিশেষত জোয়ারের সময় ঢেউয়ের ধাক্কায় কিছু কিছু জায়গায় এই হলুদ রঙের বেলুন একেবারে সমুদ্রের পাড়ে চলে আসছে। পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, এখন এই বেলুন পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হচ্ছে। কিছু অসুবিধা রয়েছে। সে সব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। কলকাতার নিউটাউন থেকে বেড়াতে এসেছেন আকাশ চৌধুরী। তিনি বলেন, “অনেক সময় বুঝতেই পারতাম না সমুদ্রের কতটা গভীরে যাওয়া উচিত, কতটা নয়। এবার হলুদ বেলুন থাকায় আমাদের অনেকটা সুবিধা হবে।’’

নুলিয়া রতন দাস জানান, “অনেক সময় পর্যটকরা বিপদসীমার চেয়েও বেশি দূরে চলে যেতেন। তাঁদের ধরে আনার পর, তাঁরা অস্বীকার করতন। এবার সুবিধা হল। হলুদ বেলুনের সীমা পেরোলেই আমরা পর্যটকদের সহজেই চিহ্নিত করতে পারব। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারব।’’ দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, “এই সীমারেখার কথা আমরা পর্যটন দফতরকে জানিয়েছিলাম। তারা দিঘায় পরীক্ষামূলক ভাবে এই বেলুন নামিয়েছেন। এতে পর্যটকদের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন