প্রতীকী ছবি।
দিঘাকে বিশ্ব মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাই সৈকত শহরের সৌন্দর্যায়নে, পরিষেবা, পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনও ফাঁক রাখতে চায় না সরকারও। কিন্তু সে সবের পরোয়া না করেই দিঘার রাস্তা দিয়ে বয়ে চলছে নোংরা জল। দুর্গন্ধে টেঁকা দায়।
গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল দিঘায়। গোটা জানুয়ারি মাসটাই পর্যটন মরসুম। ফলে সপ্তাহান্তে ভিড় বাড়ছে সৈকতে। এরই মধ্যে নিউ দিঘায় অমরাবতী পার্কের সামনে দুর্গন্ধময় বর্জ্য জলের দাপটে পর্যটকদের ওষ্ঠাগত প্রাণ। স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ীরাও অতিষ্ঠ।
অভিযোগ, রাস্তার নীচে নিকাশি নালার পাইপ ফেটে জল বেরোচ্ছে। ভেসে যাচ্ছে অমরাবতী পার্কে ঢোকার রাস্তা। এই এলাকার হোটেল, স্থানীয় গৃহস্থ বাড়ি বা দোকান বাজারের বর্জ্য ও নোংরা জল এই নিকাশি নালার মাধ্যমে উদয়পুরে গিয়ে পড়ে। সেখানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে বর্জ্য শোধন করা হয়।
কিন্তু অমরাবতীর কাছে নালার একটি অংশে বারবার সমস্যা হচ্ছে। এর আগে ৩১ ডিসেম্বরও ম্যানহোলের ঢাকনা ফেটে রাস্তায় জল ছড়িয়ে পড়েছিল। শনিবার ফের একই ঘটনা ঘটেছে। শনিমন্দিরের কাছ দিয়ে রেল স্টেশনের দিকে প্রধান রাস্তা বরাবর সমানে গড়িয়ে যাচ্ছে দূষিত জল। বাধ্য হয়ে সেই জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক— সকলেই। নদিয়া থেকে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন সমর মিশ্র। তিনি বলেন, “ভাল করে ঘুরব বলেই তো আসা। সঙ্গে বাচ্চা রয়েছে। দুর্গন্ধে ঘোরা মাথায় উঠেছে।’’
দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি দিঘা জনস্বার্থ ও কারিগরি দফতর দেখা শোনা করে। তাদের খবর দেওয়া হয়েছে।’’ জনস্বার্থ ও কারিগরি দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শেখরকুমার পালিত বলেন, “মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’
যদিও তাতে পর্যটকদের ক্ষোভ কমেনি। বারাসত থেকে আসা এক পর্যটক বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই বললেন, ‘‘দিঘায় সবাই আসে দু’দিনের জন্য। আমি যা দেখলাম তা তো দেখলাম। ফিরে যাওয়ার পর মেরামতি হলে কি আমার ধারণা বদলাবে!’’ প্রশ্নটা ঘুরছে বাসিন্দাদের মধ্যেও। পর্যটন মরসুমে দু’বার একই সমস্যা হওয়ায় তাঁরাও উদ্বিগ্ন— পর্যটকদের কাছে নিশ্চই ভুল বার্তা গেল দিঘা সম্পর্কে!