TMC

তৃণমূলের মহামিছিলে ঐক্য, হাজির পদহারারাও

ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বলে মিছিল থেকে অভিযোগ তোলা হয়। জেলার ওই কর্মসূচিতে তৃণমূলের ঐক্যের ছবি দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৪৫
Share:

পথে: ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের মিছিল। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

কর্মসূচির সাফল্য ঘিরে সংশয় ছিল। ছিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নানা সমীকরণ। আর সে সবে নজর ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের। তাই রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরে ‘মহামিছিল’ সুষ্ঠু ভাবে উতরে যাওয়ায় স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

দ্বিতীয় দফায় জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর এ দিন বিজেপি ও বামেদের নিশানা করে মহামিছিল ও পথসভার ডাক দিয়েছিলেন দুলাল মুর্মু। ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বলে মিছিল থেকে অভিযোগ তোলা হয়। জেলার ওই কর্মসূচিতে তৃণমূলের ঐক্যের ছবি দেখা গিয়েছে। জেলা ও ব্লকের বেশিরভাগ নেতা-নেত্রীই হাজির ছিলেন। ছিলেন না শুধু ঝাড়গ্রামের বিধায়ক প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। বিরবাহার দাবি, এ দিন বিধানসভার অধিবেশন চলায় তিনি দলের কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি।

দুলাল নিজে নয়াগ্রামের বিধায়ক। মিছিল ও সভায় ছিলেন বাকি দুই বিধায়ক বিনপুরের দেবনাথ হাঁসদা ও গোপীবল্লভপুরের খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। ছিলেন জেলা চেয়ারপার্সন বিরবাহা সরেন টুডু, জেলার তিন সহ-সভাপতি দুর্গেশ মল্লদেব, প্রসূন ষড়ঙ্গী ও সোমনাথ মহাপাত্র, জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলা নেতা অজিত মাহাতো প্রমুখ। বিভিন্ন ব্লকের সভাপতিদের পাশাপাশি, সদ্য বাদ পড়া ব্লক সভাপতিরাও মহামিছিলে ছিলেন।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, পুজোর আগে পঞ্চায়েতের প্রচারের ঢাকে কাঠি দিতে কয়েকদিন আগে জেলা কমিটির বৈঠক করে এ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন দুলাল। পুজোর আগে পঞ্চায়েত বিষয়ক মহামিছিলে লোকজন হবে কি না সংশয়ে ছিলেন একাংশ নেতা। তবে সূত্রের খবর, নয়া জেলা কমিটি ঘোষণার আগে জেলায় দলের সাংগঠনিক শক্তি জাহির করতে জেলা সদরকেই বেছে নেন নতুন জেলা সভাপতি। বিধায়ক দুলালের সঙ্গে নয়াগ্রাম ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্তের ভীষণই শীতল সম্পর্ক। এ দিন কর্মসূচিতে এক ঝলক উজ্জ্বলকেও দেখা গিয়েছিল। তবে তিনি মিছিলে হাঁটেননি। পাঁচ মাথা মোড়ের পথসভার মঞ্চেও ওঠেননি। দুলালের ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, জেলা সভাপতি সবাইকেই কর্মসূচিতে ডেকেছিলেন।

এ দিন বর্ণাঢ্য মিছিলটি শহরের মূল রাস্তা ধরে পাঁচ মাথা মোড়ে শেষ হয়। সেখানে পথসভায় দুলাল বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য থাকলে সেটা মুছে এগিয়ে চলতে হবে। জঙ্গলমহলের শান্তি বজায় রাখতে হবে। বিজেপি-বামেরা শত চেষ্টা করলেও আর যেন অশান্তি না হয় সে জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে মানুষের পাশে থাকতে হবে।’’ দুলাল মানছেন, ‘‘পুজোর আগে বেশি লোকজনের আশা করিনি। আমাদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন