অবরুদ্ধ দ্বারিবাঁধ খাল, বৃষ্টি হলেই জল থইথই

শহরে শিকেয় মহানালার পরিকল্পনা

সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে শহরের পূর্বদিকে ধর্মায় আরও একটি মহানালা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ধর্মার পাশ দিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। প্রস্তাব ছিল, শহরের ১, ২, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছুঁয়ে দ্বিতীয় মহানালা তৈরি হবে। ধর্মার আশপাশে গড়ে ওঠা নতুন বসতি এলাকায় নিকাশির হাল ফিরবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৭ ০০:৪৭
Share:

বদ্ধ: প্লাস্টিক জমে মজে গিয়েছে মেদিনীপুরের দ্বারিবাঁধ খাল। নিজস্ব চিত্র

মরসুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিতেই ভেসেছে শহর। মজে গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের একমাত্র মহানালা দ্বারিবাঁধ খাল। ফলে সামান্য বৃষ্টি হতেই উপচে যায় নালা। সমস্যা মেটাতে বছর আটেক আগে শহরে দ্বিতীয় একটি মহানালা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যদিও সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। ফল ভুগছে শহরবাসী।

Advertisement

বর্তমানে শহরের একমাত্র মহানালা তাঁতিগেড়িয়া, অশোকনগর, রবীন্দ্রনগর, নান্নুরচক, বক্সীবাজার, মহাতাবপুর, পালবাড়ি এলাকা ছুঁয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার ছোট-মাঝারি নিকাশি নালার জল এই মহানালায় এসে পড়ে। মহানালা গিয়ে পড়েছে কংসাবতীতে। নালার সর্বত্র নিয়মিত সংস্কার না হওয়ায় একাংশ বুজে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে নালার এই সমস্ত অংশ দিয়ে জল উপচে রাস্তা ভাসায়।

সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে শহরের পূর্বদিকে ধর্মায় আরও একটি মহানালা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ধর্মার পাশ দিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। প্রস্তাব ছিল, শহরের ১, ২, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছুঁয়ে দ্বিতীয় মহানালা তৈরি হবে। ধর্মার আশপাশে গড়ে ওঠা নতুন বসতি এলাকায় নিকাশির হাল ফিরবে। নতুন বসতি থেকে ছোট নালার মাধ্যমে জল সহজেই মহানালায় এসে পড়বে। পাশাপাশি, মেদিনীপুরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিকাশি নালা নতুন করে সংস্কার হবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে এ সব কাজ থমকে।

Advertisement

কেন এই পরিকল্পনা নিয়ে আর নাড়াচাড়া করা হচ্ছে না? এক পুর- কর্তার কথায়, “এটা ঠিক, মেদিনীপুরে আরও একটি মহানালা তৈরি করা খুব জরুরি। না- হলে আগামী দিনে নিকাশি সমস্যা আরও বাড়বে। তবে আমরা ওই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।” মেদিনীপুরের উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস বলছেন, “দ্বিতীয় মহানালার পরিকল্পনা আগেই জমা দেওয়া হয়েছে। এখনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তাই কাজ শুরু করা যায়নি। এই পরিকল্পনা খাতে অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।”

মেদিনীপুর শহরের এক কাউন্সিলরও মানছেন, “আগের থেকে শহরের পরিধি বেড়েছে। নতুন মহানালা তৈরি করতেই হবে। না হলে আগামী দিনে নিকাশি সমস্যা দেখা দেবে।” বিরোধীদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে পুর- কর্তৃপক্ষ তেমন তৎপর নন। পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে সেই ভাবে দরবার করা হয়নি। তাই কাজও এগোয়নি। শহরের কংগ্রেস কাউন্সিলর সৌমেন খানের কথায়, “মেদিনীপুরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। দ্বিতীয় মহানালা তৈরিও জরুরি। নিকাশির হাল ফেরাতে হলে পুর- কর্তৃপক্ষকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।”

মেদিনীপুরের উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথবাবু বলছেন, “শহরের এলাকা আগের থেকে বেশ বেড়েছে। নতুন বসতি হয়েছে। পুরসভার তৎপরতার অভাব নেই। শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির সব রকম চেষ্টা চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন