ফের জেল চত্বর থেকে উদ্ধার হল মোবাইল ফোন, মাদক দ্রব্য। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। প্রশ্নের মুখে জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। জেল সুপার স্বরূপ মণ্ডল অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
রবিবার সকালে তিন নম্বর দেওয়ালের পাশ থেকে কাপড়ের মধ্যে থেকে ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি চার্জার, ২০০ গ্রাম গাঁজা এবং ৭৫০ মিলিলিটার মদের একটি বোতল পাওয়া গিয়েছে। এ দিন সকালে ওয়ার্ডগুলি খোলার আগে জেল রক্ষীরা রাউন্ড দেন। সেই সময় তিন নম্বর দেওয়ালের পাশে একটি কাপড় তাঁদের নজরে আসে। পরে দেখা যায়, কাপড়ের মধ্যে মোবাইল ফোন, মাদকদ্রব্য রয়েছে। ওয়ার্ড খোলার পর কোনও বন্দির এখানে এসে এগুলো নেওয়ার কথা ছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন জেল- কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের ধারণা, শনিবার গভীর রাতে কিংবা রবিবার ভোরে কেউ বা কারা এগুলো জেল চত্বরে ফেলে যায়। ঘটনার পিছনে দুষ্টচক্রের হাতও থাকতে পারে। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে মাদক দ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। মাঝে-মধ্যেই এ সব উদ্ধার হয়। খোদ কারা- কর্তারা তল্লাশি চালানোর সময়ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার হয়েছে। এমনকী মাদক দ্রব্য পাচারের সময় হাতেনাতে এক যুবকের ধরা পড়ারও নজির রয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে জেলের মধ্যে অবাধে ঢুকছে মাদকদ্রব্য, মোবাইল। জেলে মাওবাদী সন্দেহে ধৃত একাধিক বন্দি রয়েছেন। সব সময়ই কড়া নজরদারি থাকার কথা। জেল চত্বরে ওয়াচ- টাওয়ারও রয়েছে। তা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটছে কি করে? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জেলের অন্দরেই। জেল- কর্তৃপক্ষের অবশ্য সাফাই, সব সময়ই নজরদারি চালানো হয়। কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ উঠলে তখন উপযুক্ত পদক্ষেপও করা হয়। অভিযোগ, জেলের কয়েক জন কর্তা- কর্মীর সঙ্গে একাংশ বন্দির সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কের খাতিরেই না তারা কী বাড়তি সুবিধা পায়। এক কারা- কর্তা অবশ্য বলেন, “মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। রবিবার সকালে একটা ঘটনা ঘটেছে। সমস্ত দিক দেখা হচ্ছে। যে কোনও অভিযোগ এলেই তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হয়। গত কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন জেল থেকে কয়েকশো মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। মেদিনীপুরে
সংখ্যাটা কম!”