মহিষাদল বাজারে একটি সোনার দোকান। —নিজস্ব চিত্র।
সামনেই ধনতেরাস। কিন্তু এমন সময়েও মহিষাদলের ‘স্বর্ণ পাড়ায়’ তেমন ভিড় হচ্ছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
জ্বালানির মতো ‘মহার্ঘ্য’ হচ্ছে সোনাও। শুক্রবারই পাকা সোনা (২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩২ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাতে সোনা নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না স্থানীয়েরা। ফলে কেনাবেচায় মন্দা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মহিষাদলে সোনার বাজারে এ বছর গোড়া থেকেই সোনা বিক্রির হার কম। কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা সোনার ঊর্ধ্বমুখী দামকে দায়ী করেছেন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার পিছু টাকার দাম পড়ে যাওয়ার জন্য বেড়েছে সোনার দাম। সেই মূল্য বৃদ্ধির আঁচ পাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের বৃহত্তম স্বর্ণ কারবারি এলাকা মহিষাদলের ব্যবসায়ীরা।
মহিষাদলে প্রায় ডজন খানেক বড় সোনার শো-রুম রয়েছে। ছোট আর মাঝারি মিলিয়ে প্রায় শ’তিনেক কারিগর যুক্ত রয়েছেন ওই ব্যবসায়। কিন্তু জেলার মধ্যে এত বড় সোনার বাজার হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি সোনার ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।
আশিসকুমার দাস নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘গোটা পুজোর মরশুম চলে গেল। তেমন সোনার গয়না বিক্রি হয়নি। অথচ মহিষাদলের এই বাজার থেকে প্রতি বছর পুজোর মাসে কোটি কোটি টাকার সোনার লেনদেন হত। এ বছর সেই বিক্রিতে ধাক্কা লাগল।’’
আগামী ৫ নভেম্বর দীপাবলি উপলক্ষ্যে ধনতেরাস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্যবসায় মন্দা থাকলেও তার আগে সোনা আর হিরের আংটি, হার বানানোয় ব্যস্ত কারিগররা। নামলাক্ষ্যা থেকে সোনা কিনতে এসেছিলেন মানসী কুণ্ডু। তাঁর কথায়, ‘‘সামনেই বিয়ে। তাই কিছু গয়না বানাতে হবে। বাধ্য হয়ে এখান বেশি দামে কিনতে হচ্ছে গয়না।’’
ব্যবসায় মন্দার হাল মেনে নিয়েছেন মহিষাদলের অধিকাংশ ব্যবসায়ীই। তবে রঞ্জন শেঠের মতো কিছু ব্যবসায়ীর এখনও আশা— দুর্গা পুজোয় মন্দা তো কী হয়েছে, ধনতেরাসে বিক্রি বাড়বেই!