বুনো শুয়োরের আক্রমণে জখম হলেন দুই মহিলা-সহ আট জন। বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার রাসকা গ্রামের ঘটনা। আহতদের মধ্যে চার জনকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন স্থানীয় নীলগঞ্জ-সহ সংলগ্ন গ্রামের আদিবাসী পাড়ার লোকেরা শুয়োরটিকে তাড়া করে। শুয়োরটি লোকালয় ছেড়ে পাশ্ববর্তী জঙ্গলে ঢুকে যায়। শেষ পর্যন্ত তির বিদ্ধ হয়ে শুয়োরটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বন দফতরের ডিএফও (খড়্গপুর) অঞ্জন গুহ বলেন, “শুয়োরটি কী ভাবে লোকালয়ে চলে এল, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ভোরে গড়বেতার একটি জঙ্গল থেকে বুনো শুয়োরটি রাসকা গ্রামে ঢুকে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা অনিমা বারিকের কথায়, ‘‘গোয়ালঘর থেকে তখন গরু বের করছিলাম। সেই সময় আচমকাই শুয়োরটি আমাকে আক্রমণ করে। চিৎকার করলে শুয়োরটি পালায়।’’ শুয়োরের সামনে পড়ে যান অনিমাদেবীর ছেলে সুভাষ। সুভাষকে আঁচড়ে-কাঁমড়়ে দেয় শুয়োরটি। শুয়োরের আক্রমণে আহত হন গ্রামের আরও আট জন। নীলগঞ্জের কাছে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে শুয়োরটি। খবর পেয়ে এলাকায় জড়ো হন স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা। তির ছুঁড়ে শুয়োরটিকে বাগে আনার চেষ্টা করতে থাকে স্থানীয়রা। অভিযোগ, তিরবিদ্ধ হয়ে শুয়োরটির মৃত্যু হয়। পরে মৃত শুয়োরটিকে নীলগঞ্জের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা নিয়ে চলে যায় বলেও অভিযোগ। চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে।